ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুঠিয়ায় কাজীর আত্মহত্যা

মেহেদী হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়াঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর পুঠিয়া সদরের মেহেদী হাসান (৩৭) নামের তিন সন্তানের জনক আত্মহত্যা করেছে। নিজ শয়নকক্ষে তীরের সাথে গলায় প্যান্ট পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১ টার দিকে পৌর সদরের কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তার বাবা মাওলানা মমিনুল ইসলাম বিড়ালদহ কামিল মাদরাসা’র শিক্ষক ছিলেন।
তার পারিবারিক সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার বিষপানে মেহেদী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে তিনি গলায় প্যান্ট পেঁচিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে দুপুরে তার বাবা মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে নিজ শয়নকক্ষে একই কায়দায় আত্মহত্যা করেন তিনি। তারা বাবা নামাজ পড়ে বাড়িতে ফিরে ঘরের তীরের সাথে তাকে গলায় প্যান্ট পেঁচিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন। প্রতিবেশিদের ডেকে মেহেদীকে ঝুলে থাকা অবস্থা থেকে নামিয়ে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন জানান, মেহেদী মাদকসেবি ছিলেন। তার পরিবার যথেষ্ট চেষ্টা করেছে তাকে সুস্থ জীবন যাপনে ফেরাতে।
ঘটনাস্হলে থানার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানান, মেহেদী পেশায় একজন কাজী ছিল। পাশাপাশি তিনি মাদক সেবন করতেন। তিনি সুস্থ ছিলেন না। তার ময়না তদন্ত না করাতে পরিবারের লোকজন আমাদের অনুরোধ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পুঠিয়ায় কাজীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৩:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

রাজশাহীর পুঠিয়া সদরের মেহেদী হাসান (৩৭) নামের তিন সন্তানের জনক আত্মহত্যা করেছে। নিজ শয়নকক্ষে তীরের সাথে গলায় প্যান্ট পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১ টার দিকে পৌর সদরের কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তার বাবা মাওলানা মমিনুল ইসলাম বিড়ালদহ কামিল মাদরাসা’র শিক্ষক ছিলেন।
তার পারিবারিক সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার বিষপানে মেহেদী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে তিনি গলায় প্যান্ট পেঁচিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে দুপুরে তার বাবা মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে নিজ শয়নকক্ষে একই কায়দায় আত্মহত্যা করেন তিনি। তারা বাবা নামাজ পড়ে বাড়িতে ফিরে ঘরের তীরের সাথে তাকে গলায় প্যান্ট পেঁচিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন। প্রতিবেশিদের ডেকে মেহেদীকে ঝুলে থাকা অবস্থা থেকে নামিয়ে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন জানান, মেহেদী মাদকসেবি ছিলেন। তার পরিবার যথেষ্ট চেষ্টা করেছে তাকে সুস্থ জীবন যাপনে ফেরাতে।
ঘটনাস্হলে থানার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানান, মেহেদী পেশায় একজন কাজী ছিল। পাশাপাশি তিনি মাদক সেবন করতেন। তিনি সুস্থ ছিলেন না। তার ময়না তদন্ত না করাতে পরিবারের লোকজন আমাদের অনুরোধ করেছেন।