ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পুঠিয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে অবৈধ ইটভাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক//
  • আপডেট সময় : ০৫:৪২:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর পুঠিয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে অবৈধ ইটভাটা। ভাটার মালিকরা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলায় ১৭টি ইটের ভাটা রয়েছে। চলতি বছরে ১১টি ভাটার কার্যক্রম চালু রয়েছে। আর মাত্র ৪টি ভাটার পরিবেশের ছাড়পত্র রয়েছে। আর যে ৪টি ভাটার সনদ দেওয়া হয়েছে। তা আবার সঠিক ভাবে যাচাই-বাছাই করলে সনদ পাওয়ার যোগ্য ইটভাটা না। গভীর রাতে ইটভাটাগুলিতে কয়লা পরিবর্তে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ না থাকায়, ভাটাগুলি প্রতিদিন ফসলী জমির উর্বর অংশ কেটে এনে ভাটায় জমা করছে। হাতেগোনা দুুই/একটি ভাটা আধুনিক ভাবে কয়লা দিয়ে ইটপোড়ানো ব্যবস্থা রয়েছে।

শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের আব্দুল মোমিন নামের ব্যক্তি বলেন, উপজেলা সদর থেকে এই ইউনিয়নের দুরত্ব একটু বেশি হওয়ার জন্য এবং ভাটাগুলি দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকতার্দের গাফলতির কারণে, ফসলের মাঠের ভিতরে নিয়মভর্হিভূত ভাবে ইটভাটাগুলো গড়ে উঠেছে। ইটভাটার কালো ধোয়ায় কারণে প্রতিবছর আমাদের এলাকায় বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

এলাকার কিছু হাতে গোনা দু’চার জন ইটভাটার মালিকরা লাভবান হবে। কিন্তু শতশত ফসল উৎপাদনকারী চাষিরা ইটভাটার দ্বারায় ক্ষতির শিকার হচ্ছে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইটভাটার মালিক বলেন, রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসনকে এক ভাটা প্রতি ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়ে ছিল। চলতি বছরে তারা ৮০ হাজার টাকা করে নিবেন। একটু দেরি হওয়াতে তিনদিন আগে উপজেলা সদরের দুই ভাটাতে পরিবেশ এবং উপজেলা প্রশাসন মিলে জরিমানা আদায় করেছেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন বলেন, ইটভাটার মালিকের সঙ্গে আমাদের রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনোরকম অর্থনৈতিক লেন-দেন নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা একেএম নুর হোসেন নির্ঝর বলেন, পরিবেশের স্বার্থে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা ও জেলা প্রশাসন মিলে দুইটি ইটভাটায় জরিমানা করা হয়েছে। আগামীতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পুঠিয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে অবৈধ ইটভাটা

আপডেট সময় : ০৫:৪২:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

রাজশাহীর পুঠিয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে অবৈধ ইটভাটা। ভাটার মালিকরা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলায় ১৭টি ইটের ভাটা রয়েছে। চলতি বছরে ১১টি ভাটার কার্যক্রম চালু রয়েছে। আর মাত্র ৪টি ভাটার পরিবেশের ছাড়পত্র রয়েছে। আর যে ৪টি ভাটার সনদ দেওয়া হয়েছে। তা আবার সঠিক ভাবে যাচাই-বাছাই করলে সনদ পাওয়ার যোগ্য ইটভাটা না। গভীর রাতে ইটভাটাগুলিতে কয়লা পরিবর্তে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ না থাকায়, ভাটাগুলি প্রতিদিন ফসলী জমির উর্বর অংশ কেটে এনে ভাটায় জমা করছে। হাতেগোনা দুুই/একটি ভাটা আধুনিক ভাবে কয়লা দিয়ে ইটপোড়ানো ব্যবস্থা রয়েছে।

শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের আব্দুল মোমিন নামের ব্যক্তি বলেন, উপজেলা সদর থেকে এই ইউনিয়নের দুরত্ব একটু বেশি হওয়ার জন্য এবং ভাটাগুলি দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকতার্দের গাফলতির কারণে, ফসলের মাঠের ভিতরে নিয়মভর্হিভূত ভাবে ইটভাটাগুলো গড়ে উঠেছে। ইটভাটার কালো ধোয়ায় কারণে প্রতিবছর আমাদের এলাকায় বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

এলাকার কিছু হাতে গোনা দু’চার জন ইটভাটার মালিকরা লাভবান হবে। কিন্তু শতশত ফসল উৎপাদনকারী চাষিরা ইটভাটার দ্বারায় ক্ষতির শিকার হচ্ছে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইটভাটার মালিক বলেন, রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসনকে এক ভাটা প্রতি ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়ে ছিল। চলতি বছরে তারা ৮০ হাজার টাকা করে নিবেন। একটু দেরি হওয়াতে তিনদিন আগে উপজেলা সদরের দুই ভাটাতে পরিবেশ এবং উপজেলা প্রশাসন মিলে জরিমানা আদায় করেছেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন বলেন, ইটভাটার মালিকের সঙ্গে আমাদের রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনোরকম অর্থনৈতিক লেন-দেন নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা একেএম নুর হোসেন নির্ঝর বলেন, পরিবেশের স্বার্থে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা ও জেলা প্রশাসন মিলে দুইটি ইটভাটায় জরিমানা করা হয়েছে। আগামীতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।