ঢাকা ০৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুঠিয়ায় কৃষি অফিসের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নবায়ন ফি আদায়ের অভিযোগ

মোঃ মেহেদী হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:১৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইন এর বিরুদ্ধে বালাইনাশক লাইসেন্স প্রদান ও লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
পুঠিয়া উপজেলা কৃষি অফিসারের আদেশক্রমে সকল বালাইনাশকের লাইসেন্স নবায়ন করতে উপজেলা কৃষি অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইন সরকারি ভ্যাটসহ দুইশত ত্রিশ টাকা খুচরা ও তিনশত পয়তাল্লিশ টাকা পাইকারি লাইসেন্স নবায়নের ফির জায়গায় সর্বনিম্ন ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় নতুন লাইসেন্স আর দেওয়া হবে না বলে প্রথমে ফেরত পাঠালেও পরে গোপন চুক্তির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পাইয়ে দেন লাইসেন্স। এবং কীটনাশক লাইসেন্স নবায়নের নামেও একেক জনের কাছ থেকে নেন ১ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। আবার এই টাকার কথা কাউকে বললেও লাইসেন্স বাতিলের দেন হুমকি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ব্যবসায়ী জানান, গত বছর ২ হাজার ২ শত টাকা দিয়ে কীটনাশক ব্যবসার লাইসেন্স নবায়ন করেছিলাম কিন্তু এবছর সাকলাইন তিন হাজার টাকার বিনিময়ে কীটনাশক লাইসেন্স নবায়ন করিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে বানেশ্বরের কয়েকজন কীটনাশক ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমার নাম যদি নিউজে আসে তাহলে লাইসেন্স নবায়ন না করে দেওয়ার হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন কৃষি অফিস। তাই বলতে ভয় লাগে। গোলাম সাকলাইন স্যার লাইসেন্সের দায়িত্বে আছে তিনিই সরকারি ফিসহ অনন্য খরচ ছাড়াও আমার কাছে অতিরিক্ত ১ হাজার পাঁচশত টাকা চাওয়ার কারনে আমি এবছর এখনও কীটনাশকের লাইসেন্স নবায়ন করি নাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক কীটনাশক ব্যবসায়ী জানান, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়নের সেচ্চাচারিতা ও লাইসেন্স নবায়ন করতে অতিরিক্ত টাকা দাবীর ফলে তারা লাইসেন্স নবায়ন করতে পারছে না।
পুঠিয়া উপজেলায় বিসিআইসি ও বিএডিসির সার ডিলার রয়েছে ২১ জন ও বালাইনাশক ডিলার রয়েছে ৫১৭ টি এই সব ডিলারের কাছ থেকেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে মোটা অংকের চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে উপজেলা কৃষি অফিসের বিরুদ্ধে। এবং উপজেলার বড় বড় কীটনাশক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কৃষি অফিসের বিরুদ্ধে আবার সেই টাকাও আদায় করতেন গোলাম সাকলাইন।
সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইনের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেন, এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি যদি পাই তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজশাহী কৃসি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক উম্মে সালমা বলেন, আমার কাছে এমন কোন অভিযোগ নেই। এমন কোন অভিযোগ হওয়ার কথা না। যদি পুঠিয়া কৃষি অফিসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাই তাহলে তদন্ত করে দেখা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পুঠিয়ায় কৃষি অফিসের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নবায়ন ফি আদায়ের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:১৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইন এর বিরুদ্ধে বালাইনাশক লাইসেন্স প্রদান ও লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
পুঠিয়া উপজেলা কৃষি অফিসারের আদেশক্রমে সকল বালাইনাশকের লাইসেন্স নবায়ন করতে উপজেলা কৃষি অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইন সরকারি ভ্যাটসহ দুইশত ত্রিশ টাকা খুচরা ও তিনশত পয়তাল্লিশ টাকা পাইকারি লাইসেন্স নবায়নের ফির জায়গায় সর্বনিম্ন ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় নতুন লাইসেন্স আর দেওয়া হবে না বলে প্রথমে ফেরত পাঠালেও পরে গোপন চুক্তির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পাইয়ে দেন লাইসেন্স। এবং কীটনাশক লাইসেন্স নবায়নের নামেও একেক জনের কাছ থেকে নেন ১ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। আবার এই টাকার কথা কাউকে বললেও লাইসেন্স বাতিলের দেন হুমকি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ব্যবসায়ী জানান, গত বছর ২ হাজার ২ শত টাকা দিয়ে কীটনাশক ব্যবসার লাইসেন্স নবায়ন করেছিলাম কিন্তু এবছর সাকলাইন তিন হাজার টাকার বিনিময়ে কীটনাশক লাইসেন্স নবায়ন করিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে বানেশ্বরের কয়েকজন কীটনাশক ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমার নাম যদি নিউজে আসে তাহলে লাইসেন্স নবায়ন না করে দেওয়ার হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন কৃষি অফিস। তাই বলতে ভয় লাগে। গোলাম সাকলাইন স্যার লাইসেন্সের দায়িত্বে আছে তিনিই সরকারি ফিসহ অনন্য খরচ ছাড়াও আমার কাছে অতিরিক্ত ১ হাজার পাঁচশত টাকা চাওয়ার কারনে আমি এবছর এখনও কীটনাশকের লাইসেন্স নবায়ন করি নাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক কীটনাশক ব্যবসায়ী জানান, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়নের সেচ্চাচারিতা ও লাইসেন্স নবায়ন করতে অতিরিক্ত টাকা দাবীর ফলে তারা লাইসেন্স নবায়ন করতে পারছে না।
পুঠিয়া উপজেলায় বিসিআইসি ও বিএডিসির সার ডিলার রয়েছে ২১ জন ও বালাইনাশক ডিলার রয়েছে ৫১৭ টি এই সব ডিলারের কাছ থেকেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে মোটা অংকের চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে উপজেলা কৃষি অফিসের বিরুদ্ধে। এবং উপজেলার বড় বড় কীটনাশক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কৃষি অফিসের বিরুদ্ধে আবার সেই টাকাও আদায় করতেন গোলাম সাকলাইন।
সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইনের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেন, এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি যদি পাই তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজশাহী কৃসি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক উম্মে সালমা বলেন, আমার কাছে এমন কোন অভিযোগ নেই। এমন কোন অভিযোগ হওয়ার কথা না। যদি পুঠিয়া কৃষি অফিসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাই তাহলে তদন্ত করে দেখা হবে।