ঢাকা ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে: গভর্নর সকলে মিলে একটি ঐকমত্যের জাতীয় সরকার গঠনের চেষ্টা চলছে : নুর পাবনার এতিম দুই শিশুর পাশে তারেক রহমান আজকের শিশু আগামীর ভালো মানুষ হয় শিক্ষক দ্বারা : শরীফ উদ্দিন কুয়েতের চমকেই শেষ আটে পাকিস্তান, বিদায় ভারত হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই, ধানের শীষে ভোট চাই : মির্জা ফখরুল বিজিবির সহায়তায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় বৃদ্ধার মরদেহ দেখলেন স্বজনরা অবৈধ প্রবাসীদের জন্য নতুন ডিজিটাল উদ্যোগ সৌদি আরবের অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাথমিকের শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা আ.লীগের গুপ্ত কৌশল ঠেকাতে জাতীয় ঐক্য অত্যন্ত জরুরি: তারেক

পাঠ্যবইয়ে ভাসানীর জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক//
  • আপডেট সময় : ১১:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ৮১ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জীবনী প্রত্যাহারের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে ভাসানী অনুসারী পরিষদের রাজশাহী জেলা ও নগর কমিটি এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। কর্মসূচি থেকে সপ্তম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ভাসানীর জীবনী পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।

কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাসানী ফাউন্ডেশনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. জি এম শফিউর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর কাউকে থাকতে দেয়নি। তারা মনে করে, বাংলাদেশে শেখ মুজিবই একমাত্র ব্যক্তি, যার ওপরে আর কেউ নাই। কিন্তু মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের জন্মদাতা। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা। আওয়ামী লীগ সরকার মওলানা ভাসানীকে ধামাচাপা দিয়ে রাখতে চেয়েছিল। নতুন প্রজন্মকে তাঁর সম্পর্কে জানার সুযোগ দেয়নি। পাঠ্যবই থেকে তাঁর জীবনী তুলে দিয়ে ইতিহাস বিকৃত করেছে। বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস থেকে এত দিন শিক্ষার্থীদের দূরে রেখেছে।

পাঠ্যবইয়ে আবার মওলানা ভাসানীর জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে শফিউর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা সরকার অন্যায়ভাবে মওলানা ভাসানীর জীবনী পাঠ্যবই থেকে প্রত্যাহার করেছে। কারণ ভাসানীকে যদি মানুষ বুঝতে পারে, জানতে পারে, তাহলে ভাসানীর আড়ালে শেখ মুজিব চলে যাবে। সে জন্য শেখ মুজিবকে বড় করতে ভাসানীর জীবনী প্রত্যাহার করে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের রাজশাহী জেলার সভাপতি এশারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, মহানগরের সহসভাপতি নূর হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাঠ্যবইয়ে ভাসানীর জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ১১:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জীবনী প্রত্যাহারের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে ভাসানী অনুসারী পরিষদের রাজশাহী জেলা ও নগর কমিটি এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। কর্মসূচি থেকে সপ্তম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ভাসানীর জীবনী পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।

কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাসানী ফাউন্ডেশনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. জি এম শফিউর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর কাউকে থাকতে দেয়নি। তারা মনে করে, বাংলাদেশে শেখ মুজিবই একমাত্র ব্যক্তি, যার ওপরে আর কেউ নাই। কিন্তু মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের জন্মদাতা। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা। আওয়ামী লীগ সরকার মওলানা ভাসানীকে ধামাচাপা দিয়ে রাখতে চেয়েছিল। নতুন প্রজন্মকে তাঁর সম্পর্কে জানার সুযোগ দেয়নি। পাঠ্যবই থেকে তাঁর জীবনী তুলে দিয়ে ইতিহাস বিকৃত করেছে। বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস থেকে এত দিন শিক্ষার্থীদের দূরে রেখেছে।

পাঠ্যবইয়ে আবার মওলানা ভাসানীর জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে শফিউর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা সরকার অন্যায়ভাবে মওলানা ভাসানীর জীবনী পাঠ্যবই থেকে প্রত্যাহার করেছে। কারণ ভাসানীকে যদি মানুষ বুঝতে পারে, জানতে পারে, তাহলে ভাসানীর আড়ালে শেখ মুজিব চলে যাবে। সে জন্য শেখ মুজিবকে বড় করতে ভাসানীর জীবনী প্রত্যাহার করে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের রাজশাহী জেলার সভাপতি এশারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, মহানগরের সহসভাপতি নূর হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ প্রমুখ।