ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে থেকে এবার ইতিহাসের সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে। মিলেছে মোট ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা। দানবাক্সে একসঙ্গে এতো টাকা পাওয়াটা নতুন রেকর্ড।

টাকা গণনা শেষে শনিবার (১৯ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টার দিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ উপস্থিত ছিলেন।

দানবাক্সগুলো থেকে প্রথমে টাকা বের করে বস্তায় ভরা হয়। আটটি দানবাক্সে এবার ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। পরে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা। গণনার কাজে প্রায় ২০০ জনের ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। গণনা শেষে পাওয়া গেছে মোট ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা।

এর আগে ৬ মে রমজানের কারণে চার মাস পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ১৯টি বস্তায় তখন মিলেছিল রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা।

এছাড়াও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রুপা। তখন অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ৩ মাসে এই পরিমাণ টাকা জমা পড়েছিল মসজিদের দানবাক্সগুলোতে। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে থেকে এবার ইতিহাসের সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে। মিলেছে মোট ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা। দানবাক্সে একসঙ্গে এতো টাকা পাওয়াটা নতুন রেকর্ড।

টাকা গণনা শেষে শনিবার (১৯ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টার দিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ উপস্থিত ছিলেন।

দানবাক্সগুলো থেকে প্রথমে টাকা বের করে বস্তায় ভরা হয়। আটটি দানবাক্সে এবার ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। পরে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা। গণনার কাজে প্রায় ২০০ জনের ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। গণনা শেষে পাওয়া গেছে মোট ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা।

এর আগে ৬ মে রমজানের কারণে চার মাস পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ১৯টি বস্তায় তখন মিলেছিল রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা।

এছাড়াও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রুপা। তখন অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ৩ মাসে এই পরিমাণ টাকা জমা পড়েছিল মসজিদের দানবাক্সগুলোতে। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন।