ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পদত্যাগ করেছেন ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১২:২৬:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আওয়াদ বিন মুবারক পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (৩ মে) তিনি তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, খবরটি নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।

এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মুবারক জানিয়েছেন, তিনি ‘অনেক সমস্যার’ সম্মুখীন হয়েছেন, যার মধ্যে সরকার পুনর্গঠন করতে না পারাও অন্যতম।

বিবৃতিটি তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে আহমেদ আওয়াদ বিন মুবারক বলেন, আমি নানা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সরকারের কাঙ্ক্ষিত পুনর্গঠন বাস্তবায়ন করতে না পারা। এই ব্যর্থতা থেকে দায়িত্বশীলতার বোধ থেকে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ইয়েমেনের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার পরবর্তী উত্তরসূরির জন্য প্রার্থনা কামনা করেছেন এবং সবাইকে নতুন নেতৃত্বকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত মূলত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমির সঙ্গে ক্ষমতা নিয়ে বিরোধের পর আসে। মুবারক সরকারের ১২ জন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন, যা আল-আলিমি প্রত্যাখ্যান করেন।

মুবারক ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান, এর আগে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে আলোচনায় আসেন, যখন তিনি ইয়েমেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ইরান-সমর্থিত হুতি মিলিশিয়া তাকে অপহরণ করে।

মুবারকের পদত্যাগের ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে যখন যুক্তরাষ্ট্র হুতির সামরিক সম্পদ ধ্বংস করতে এবং তাদের রেড সিতে বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু বানানো থেকে বিরত রাখতে বিমান হামলা বাড়িয়েছে।

মার্চ মাস থেকে হুতিদের ওপর চালানো এই প্রাণঘাতী হামলাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।

ইয়েমেন প্রায় এক দশক ধরে গৃহযুদ্ধের কবলে রয়েছে। হুতিরা ২০১৪ সালে রাজধানী সানা দখল করে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করে; যা পরে দক্ষিণের বন্দরনগরী অ্যাডেনে স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে হুতিরা দেশের বেশিরভাগ এলাকা, বিশেষ করে উত্তর ও পশ্চিমের জনবহুল অঞ্চলগুলো নিয়ন্ত্রণ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পদত্যাগ করেছেন ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১২:২৬:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আওয়াদ বিন মুবারক পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (৩ মে) তিনি তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, খবরটি নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।

এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মুবারক জানিয়েছেন, তিনি ‘অনেক সমস্যার’ সম্মুখীন হয়েছেন, যার মধ্যে সরকার পুনর্গঠন করতে না পারাও অন্যতম।

বিবৃতিটি তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে আহমেদ আওয়াদ বিন মুবারক বলেন, আমি নানা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সরকারের কাঙ্ক্ষিত পুনর্গঠন বাস্তবায়ন করতে না পারা। এই ব্যর্থতা থেকে দায়িত্বশীলতার বোধ থেকে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ইয়েমেনের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার পরবর্তী উত্তরসূরির জন্য প্রার্থনা কামনা করেছেন এবং সবাইকে নতুন নেতৃত্বকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত মূলত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমির সঙ্গে ক্ষমতা নিয়ে বিরোধের পর আসে। মুবারক সরকারের ১২ জন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন, যা আল-আলিমি প্রত্যাখ্যান করেন।

মুবারক ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান, এর আগে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে আলোচনায় আসেন, যখন তিনি ইয়েমেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ইরান-সমর্থিত হুতি মিলিশিয়া তাকে অপহরণ করে।

মুবারকের পদত্যাগের ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে যখন যুক্তরাষ্ট্র হুতির সামরিক সম্পদ ধ্বংস করতে এবং তাদের রেড সিতে বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু বানানো থেকে বিরত রাখতে বিমান হামলা বাড়িয়েছে।

মার্চ মাস থেকে হুতিদের ওপর চালানো এই প্রাণঘাতী হামলাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।

ইয়েমেন প্রায় এক দশক ধরে গৃহযুদ্ধের কবলে রয়েছে। হুতিরা ২০১৪ সালে রাজধানী সানা দখল করে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করে; যা পরে দক্ষিণের বন্দরনগরী অ্যাডেনে স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে হুতিরা দেশের বেশিরভাগ এলাকা, বিশেষ করে উত্তর ও পশ্চিমের জনবহুল অঞ্চলগুলো নিয়ন্ত্রণ করে।