ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুই বিভাগের পুলিশ কমিশনারসহ ৫ এসপিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দুর্নীতিবিরোধী সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণ, যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ পেঁয়াজের বাজার অস্তির, রাতে ৮০ সকালে ১৬০ টাকা জাপা মহাসচিবের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নৌকার প্রার্থীর আবেদন ‘আগামীতে রক্তপাত, গৃহযুদ্ধ হলে দায় আওয়ামী লীগের’ ১০ ডিসেম্বর কোথায় মানববন্ধন করবে, জানাল বিএনপি অযৌক্তিক রাজনৈতিক চাপের অভিযোগ তুলে জাতিসংঘকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি আপিলকারীরা শতভাগ ন্যায়বিচার পাবেন: ইসি ত্রিশালকে একটি মডেল এলাকা হিসাবে গড়ে তুলবো – স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছ যারা আগুন দিতে যাবে তাদের পুলিশে দিন: প্রধানমন্ত্রী

নির্মাণের ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:০৫:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ৭৮ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নির্মাণের ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ের কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল। বিদ্যুৎ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার অজুহাতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের অনীহায় স্থাপনাটি এখন মাদক সেবীদের আখরায় পরিণত হয়।

প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়াই একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বাস টার্মিনালটি উদ্বোধনের পর ১৯ বছর থেকে অব্যবহৃত অবস্থায় থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্র। একদিকে টার্মিনালের দোকানঘর ও বিভিন্ন অবকাঠামোসহ মূল ভবন নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে মহাসড়কের ওপর কয়েক জায়গায় বাস দাঁড়ানোর ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

২০০৩ সালে শহরের পূর্বদিকে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় সড়কের পাশে টার্মিনালটি নির্মিত হয়। জায়গাটি ছিল মালিক সমিতির। পৌরসভা ২দশমিক ৪৯ একর জমি মূল্য দিয়ে অধিগ্রহণ করে ও এলজিইডির মাধ্যমে প্রায় ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে টার্মিনাল নির্মাণ করে। আধুনিক মানের বাস টার্মিনাল নির্মিত হলেও তার মালিকানা নিয়ে পৌরসভা ও বাস মালিক সমিতির রশি টানাটানির কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর সেটি ব্যবহার হচ্ছে না।

ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের একমাত্র টার্মিনালটি বন্ধ থাকার ফলে টার্মিনালের বদলে মহাসড়কের পাশেই যাত্রি ওঠা নামা করায় প্রায়ই সময় ঘটছে দূর্ঘটনা। এনিয়ে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো মাথা ব্যাথ্যা ।

দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় পরিবহন চালক আর শ্রমিকদের হাক-ডাক আর যাত্রীদের আনা-গোনা নেই। পুরো ভবন জুড়েই যেন বখাটে ও মাদক সেবীদের রাজত্ব। টিকেট কাউন্টার, ওয়াশ রুম, ওয়েটিং রুমুসহ প্রয়োজনীয় যাত্রী সবিধা নিয়ে ২০০৩ সালে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল।

কিন্ত প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা টার্মিনালটি মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে টার্মিনালের লাইটিং ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটি দাবি করে টার্মিনালটি ছেড়ে চলে যান পরিহন মালিক শ্রমিকেরা। এরপর থেকে গত ১৯ বছর থেকে অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এটি। এবং পরিবহন মালিকরা মহসড়কের পাশে অস্থায়ী চেয়ার-টেবিলের তৈরি কাউন্টারে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। যার জন্য মাঝে মাঝে ঘটছে দূর্ঘটনা।

স্থানীয়দের দাবী এটি সংস্কারের মাধ্যমে পুনরায় নতুন ভাবে চালু হলে, যাত্রীদের ভোগান্তি দূর হবার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত সড়ক দূর্ঘনার শিকার আর সাধারণ মানুষকে হতে হবে না।

দিনাজুর গমনকারী যাত্রী মোছা. সুলতানা বিলকিস বলেন, ‘সরকার এতো টাকা খরচ করে এই টার্মিনালটি তৈরি করেছেন। যদি এটির সঠিক ব্যবহার হতো তবে আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীরা উপকৃত হবে।’

রংপুর গমনকারী মো. মকছেদুল ইসলামু বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব এই বাস টার্মিনালটি সংস্কার করা হলে, সবার জন্য যাতায়াতের সুবিধা হবে।’

পৌরসভার মেয়র, আন্জুমান আরা বন্য বলেন, আমরা প্রতি বছর এটি লিজ দেই। তখন তারা কি করেন তা আমাদের আর দেখ-ভালের তেমন সুযোগ থাকেনা। তবে আমারা এটি চালুর জন্য উদ্যোগ নিবো। যাতে এটি সঠিক ভাবে পরিচালিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নির্মাণের ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল

আপডেট সময় : ০৬:০৫:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২

নির্মাণের ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ের কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল। বিদ্যুৎ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার অজুহাতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের অনীহায় স্থাপনাটি এখন মাদক সেবীদের আখরায় পরিণত হয়।

প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়াই একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বাস টার্মিনালটি উদ্বোধনের পর ১৯ বছর থেকে অব্যবহৃত অবস্থায় থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্র। একদিকে টার্মিনালের দোকানঘর ও বিভিন্ন অবকাঠামোসহ মূল ভবন নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে মহাসড়কের ওপর কয়েক জায়গায় বাস দাঁড়ানোর ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

২০০৩ সালে শহরের পূর্বদিকে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় সড়কের পাশে টার্মিনালটি নির্মিত হয়। জায়গাটি ছিল মালিক সমিতির। পৌরসভা ২দশমিক ৪৯ একর জমি মূল্য দিয়ে অধিগ্রহণ করে ও এলজিইডির মাধ্যমে প্রায় ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে টার্মিনাল নির্মাণ করে। আধুনিক মানের বাস টার্মিনাল নির্মিত হলেও তার মালিকানা নিয়ে পৌরসভা ও বাস মালিক সমিতির রশি টানাটানির কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর সেটি ব্যবহার হচ্ছে না।

ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের একমাত্র টার্মিনালটি বন্ধ থাকার ফলে টার্মিনালের বদলে মহাসড়কের পাশেই যাত্রি ওঠা নামা করায় প্রায়ই সময় ঘটছে দূর্ঘটনা। এনিয়ে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো মাথা ব্যাথ্যা ।

দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় পরিবহন চালক আর শ্রমিকদের হাক-ডাক আর যাত্রীদের আনা-গোনা নেই। পুরো ভবন জুড়েই যেন বখাটে ও মাদক সেবীদের রাজত্ব। টিকেট কাউন্টার, ওয়াশ রুম, ওয়েটিং রুমুসহ প্রয়োজনীয় যাত্রী সবিধা নিয়ে ২০০৩ সালে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল।

কিন্ত প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা টার্মিনালটি মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে টার্মিনালের লাইটিং ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটি দাবি করে টার্মিনালটি ছেড়ে চলে যান পরিহন মালিক শ্রমিকেরা। এরপর থেকে গত ১৯ বছর থেকে অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এটি। এবং পরিবহন মালিকরা মহসড়কের পাশে অস্থায়ী চেয়ার-টেবিলের তৈরি কাউন্টারে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। যার জন্য মাঝে মাঝে ঘটছে দূর্ঘটনা।

স্থানীয়দের দাবী এটি সংস্কারের মাধ্যমে পুনরায় নতুন ভাবে চালু হলে, যাত্রীদের ভোগান্তি দূর হবার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত সড়ক দূর্ঘনার শিকার আর সাধারণ মানুষকে হতে হবে না।

দিনাজুর গমনকারী যাত্রী মোছা. সুলতানা বিলকিস বলেন, ‘সরকার এতো টাকা খরচ করে এই টার্মিনালটি তৈরি করেছেন। যদি এটির সঠিক ব্যবহার হতো তবে আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীরা উপকৃত হবে।’

রংপুর গমনকারী মো. মকছেদুল ইসলামু বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব এই বাস টার্মিনালটি সংস্কার করা হলে, সবার জন্য যাতায়াতের সুবিধা হবে।’

পৌরসভার মেয়র, আন্জুমান আরা বন্য বলেন, আমরা প্রতি বছর এটি লিজ দেই। তখন তারা কি করেন তা আমাদের আর দেখ-ভালের তেমন সুযোগ থাকেনা। তবে আমারা এটি চালুর জন্য উদ্যোগ নিবো। যাতে এটি সঠিক ভাবে পরিচালিত হয়।