ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে বিজয় ছাড়া নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে না: তথ্যমন্ত্রী

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৭:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজপথের দল। দিয়াশলাইয়ের কাঠিতে যেমন খোঁচা দিলে জ্বলে ওঠে তেমনি আমাদের নেতাকর্মীদের একটা গুণ হল খোঁচা দিলে জ্বলে উঠে। তারা আমাদের খোঁচা দিয়েছে, আমরা জ্বলে ওঠেছি। আমরা রাজপথে নেমেছি। আগামী নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনা ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আর ঘরে ফিরে যাবে না।

শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচনে তাদের কোনো সম্ভাবনা নাই, তাই তারা অনেক ষড়যন্ত্র এঁকেছে, তারা নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্র করেছে। তারা এখন যদিও বা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের বাহানা করছে, সুযোগ পেলেই তারা আবার নাশকতা করবে, জনগণকে ছোবল মারবে। তাই নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানাব, সতর্ক থাকতে হবে। রাজপথে নেমেছি, নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব। কাউকে দেশে বিশৃঙ্খলা করতে দেয়া হবে না। যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় আওয়ামী লীগ জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুনিয়ার কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাই, আছে শুধু একমাত্র পাকিস্তানে। বাংলাদেশ পাকিস্তানকে অনুকরণ কওে না, পাকিস্তান এখন বাংলাদেশকে অনুকরণ করে। বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। সমস্ত সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও নির্বাচনকালীন সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবেন, তার সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। আর নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

তিনি বলেন, বিএনপি আজকে সমগ্র বাংলাদেশে আটটি জায়গায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে বিএনপি এবং তার জোট ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করছে। তারা ঘোষণা দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করে দিবে। আগ বাড়িয়ে আবার ঘোষণা দিয়েছিল ১০ তারিখের পর বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নাকি দেশ চলবে। তারা বলেছেন, ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে। তারা যাতে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ করতে পারে সেজন্য আমরা বললাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না গেলেও বাণিজ্য মেলার মাঠ কিংবা বিশ্ব ইজতেমার মাঠে যান। ওনারা বললেন, নয়াপল্টনের অফিসের সামনে সমাবেশ করবেন। কোনভাবেই নয়াপল্টন থেকে সরবে না। শেষ পর্যন্ত গরুর হাটের মাঠে সমাবেশ করলো। আর তাদের অফিসে পাওয়া গেল তাজা বোমা, দুই লাখ পানির বোতল, কয়েক টন চাল। তার মানে, তাদের পরিকল্পনা ছিল ঢাকা শহরে বোমাবাজি করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।

তিনি বলেন, আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ঢাকা শহরে আমরা সতর্ক পাহারায় থাকব। আমরা ঢাকা শহর জুড়ে সতর্ক পাহারায় ছিলাম। তারা যেই মাঠে সমাবেশ করলো সেখানে মানুষ ধরে সর্বসাকুল্যে ২৫ হাজার। আশপাশের জায়গাসহ ধরে নিলাম ৪৫ হাজার মানুষের একটি সমাবেশ করলেন। ফেসবুকে মানুষে বলে, ঘোড়ায় তিনটা ডিম পেড়েছে। আবার ঘোড়ার ওপর লিখে দিয়েছে ১০ তারিখ বিএনপি ঘোড়ার ডিম পেড়েছিল।

আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, এরপর বিএনপি দিল হাঁটা কর্মসূচি, পদযাত্রা। মানুষ বলে বিএনপির মনে হয় দম ফুরিয়ে গেছে। এজন্য এখন মিছিলের পরিবর্তে হাঁটা শুরু করছে। দুর্মুখেরা বলছে, বিএনপি ভবিষ্যতে হামাগুড়ি দেওয়া শুরু করবে।

বিএনপি এখন একটু লাইনে এসেছে উল্লেখ করে বলেন, জেলে যাবার আগে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস সাহেবরা বক্তৃতা করেছেন সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিব। আওয়ামী লীগের ভিত বহু গভীরে প্রোথিত, আওয়ামী লীগকে কেউ ধাক্কা দিলে সে নিজে পড়ে যায়। সুতরাং তারা ধাক্কা দিতে গিয়ে কোমর ভেঙে পড়ে গেছে। এখন তারা বলছেন, আমরা কাউকে আর ধাক্কা দিতে চাই না। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করতে চাই।

তিনি বলেন, আসুন, আপনারা নির্বাচনে আসুন। আপনারা নির্বাচনকে বয়কট করবেন, নির্বাচনকে ভয় পাবেন, আপনাদের নির্বাচনের ট্রেনে তোলার দায়িত্ব আমাদের নয়। তারা চায় এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা, যেই ব্যবস্থা তাদেরকে ক্ষমতায় বসানো নিশ্চিত করবে। সেই ধরণের নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না। বাংলাদেশে হবে অবাধ সুষ্ঠু স্বচ্ছ ও নিরেপক্ষ নির্বাচন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে সমগ্র পৃথিবী কর্তৃক একটি প্রশংসিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি পূর্ণ শক্তি দিয়ে আসন পেয়েছিল ২৯টি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম, তালেবানসহ সবাইকে নিয়ে ঐক্য করে তারা আসন পেয়েছিল মাত্র ৬টি। তাই তারা বুঝতে পেরেছে আগামী নির্বাচনেও কোন সম্ভাবনা নাই। তাই তারা এখন নানা বাহানা করছে।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা আলহাজ শফর আলী, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচনে বিজয় ছাড়া নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে না: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজপথের দল। দিয়াশলাইয়ের কাঠিতে যেমন খোঁচা দিলে জ্বলে ওঠে তেমনি আমাদের নেতাকর্মীদের একটা গুণ হল খোঁচা দিলে জ্বলে উঠে। তারা আমাদের খোঁচা দিয়েছে, আমরা জ্বলে ওঠেছি। আমরা রাজপথে নেমেছি। আগামী নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনা ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আর ঘরে ফিরে যাবে না।

শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচনে তাদের কোনো সম্ভাবনা নাই, তাই তারা অনেক ষড়যন্ত্র এঁকেছে, তারা নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্র করেছে। তারা এখন যদিও বা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের বাহানা করছে, সুযোগ পেলেই তারা আবার নাশকতা করবে, জনগণকে ছোবল মারবে। তাই নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানাব, সতর্ক থাকতে হবে। রাজপথে নেমেছি, নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব। কাউকে দেশে বিশৃঙ্খলা করতে দেয়া হবে না। যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় আওয়ামী লীগ জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুনিয়ার কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাই, আছে শুধু একমাত্র পাকিস্তানে। বাংলাদেশ পাকিস্তানকে অনুকরণ কওে না, পাকিস্তান এখন বাংলাদেশকে অনুকরণ করে। বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। সমস্ত সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও নির্বাচনকালীন সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবেন, তার সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। আর নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

তিনি বলেন, বিএনপি আজকে সমগ্র বাংলাদেশে আটটি জায়গায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে বিএনপি এবং তার জোট ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করছে। তারা ঘোষণা দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করে দিবে। আগ বাড়িয়ে আবার ঘোষণা দিয়েছিল ১০ তারিখের পর বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নাকি দেশ চলবে। তারা বলেছেন, ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে। তারা যাতে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ করতে পারে সেজন্য আমরা বললাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না গেলেও বাণিজ্য মেলার মাঠ কিংবা বিশ্ব ইজতেমার মাঠে যান। ওনারা বললেন, নয়াপল্টনের অফিসের সামনে সমাবেশ করবেন। কোনভাবেই নয়াপল্টন থেকে সরবে না। শেষ পর্যন্ত গরুর হাটের মাঠে সমাবেশ করলো। আর তাদের অফিসে পাওয়া গেল তাজা বোমা, দুই লাখ পানির বোতল, কয়েক টন চাল। তার মানে, তাদের পরিকল্পনা ছিল ঢাকা শহরে বোমাবাজি করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।

তিনি বলেন, আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ঢাকা শহরে আমরা সতর্ক পাহারায় থাকব। আমরা ঢাকা শহর জুড়ে সতর্ক পাহারায় ছিলাম। তারা যেই মাঠে সমাবেশ করলো সেখানে মানুষ ধরে সর্বসাকুল্যে ২৫ হাজার। আশপাশের জায়গাসহ ধরে নিলাম ৪৫ হাজার মানুষের একটি সমাবেশ করলেন। ফেসবুকে মানুষে বলে, ঘোড়ায় তিনটা ডিম পেড়েছে। আবার ঘোড়ার ওপর লিখে দিয়েছে ১০ তারিখ বিএনপি ঘোড়ার ডিম পেড়েছিল।

আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, এরপর বিএনপি দিল হাঁটা কর্মসূচি, পদযাত্রা। মানুষ বলে বিএনপির মনে হয় দম ফুরিয়ে গেছে। এজন্য এখন মিছিলের পরিবর্তে হাঁটা শুরু করছে। দুর্মুখেরা বলছে, বিএনপি ভবিষ্যতে হামাগুড়ি দেওয়া শুরু করবে।

বিএনপি এখন একটু লাইনে এসেছে উল্লেখ করে বলেন, জেলে যাবার আগে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস সাহেবরা বক্তৃতা করেছেন সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিব। আওয়ামী লীগের ভিত বহু গভীরে প্রোথিত, আওয়ামী লীগকে কেউ ধাক্কা দিলে সে নিজে পড়ে যায়। সুতরাং তারা ধাক্কা দিতে গিয়ে কোমর ভেঙে পড়ে গেছে। এখন তারা বলছেন, আমরা কাউকে আর ধাক্কা দিতে চাই না। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করতে চাই।

তিনি বলেন, আসুন, আপনারা নির্বাচনে আসুন। আপনারা নির্বাচনকে বয়কট করবেন, নির্বাচনকে ভয় পাবেন, আপনাদের নির্বাচনের ট্রেনে তোলার দায়িত্ব আমাদের নয়। তারা চায় এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা, যেই ব্যবস্থা তাদেরকে ক্ষমতায় বসানো নিশ্চিত করবে। সেই ধরণের নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না। বাংলাদেশে হবে অবাধ সুষ্ঠু স্বচ্ছ ও নিরেপক্ষ নির্বাচন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে সমগ্র পৃথিবী কর্তৃক একটি প্রশংসিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি পূর্ণ শক্তি দিয়ে আসন পেয়েছিল ২৯টি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম, তালেবানসহ সবাইকে নিয়ে ঐক্য করে তারা আসন পেয়েছিল মাত্র ৬টি। তাই তারা বুঝতে পেরেছে আগামী নির্বাচনেও কোন সম্ভাবনা নাই। তাই তারা এখন নানা বাহানা করছে।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা আলহাজ শফর আলী, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।