ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোন রকম বাধা বা হামলার চেষ্টা করলে কঠোর ভাবে দমন করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ১১:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০ বার পড়া হয়েছে
ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোন রকম বাধা বা হামলার চেষ্টা করলে তাদের কঠোর ভাবে দমন করা হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রেমতলীতে অনেক ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকে, আমি মুগ্ধ হয়েছি, আমরা এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়বো। যেখানে থাকবে শুধু শান্তি।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ বাড়ী মন্দির পরিদর্শন ও হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এসব কথা বলেন।’
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন,’ আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে আগামী মঙ্গলবার মিটিং করবো। সেখানে আমরা ডিআইজি জেলা প্রশাসককদের নির্দেশনা দেব। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, সে যেই হোক, আমরা তাকে ছাড় দেবো না। আইনের আওতায় এনে শাস্তি ও বিচার করবো। এছাড়াও যদি কোথাও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বা হবে মনে হয় তাহলে স্থানীয় জনগণ ও মাদ্রাসা ছাত্রদের সম্পৃক্ত করে তাদের পূজা মন্ডল পাহারা দেবে।’
তিনি আরো বলেন, আমি অবগত হয়েছি রাজশাহী বিভাগে সাম্প্রদায়িক সোহাদ্র বিরাজ করছে। সামনে যে শারদীয় দূর্গাউৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বী যারা আছেন তাদের আশ্বস্ত করতে চাই আপনারা উৎসাহ উদ্দীপনা এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে উৎসব পালন করবেন।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক দেশ সকলে সমান ভাবে উৎসব পালন করবেন। দেশে কোন বৈষম্য সৃষ্টি করা যাবে না।’
গোদাগাড়ী উপজেলায় নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোদাগাড়ীর গোগ্রাম নওয়াতুল ইসলামী কাওমী মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক মাও. মোখতার আলী, গৌরাঙ্গ দেব মন্দিরেী সভাপতি বিদ্যুৎ নারায়ণ সরকার।
পরে ধর্ম উপদেষ্টার পক্ষ থেকে স্থানীয় ৪০০ হিন্দু মুসলিম পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও মন্দির পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও স্থানীয় ইসকন ভবন পরিদর্শন ও গোগ্রাম পূজা মন্ডল পরিদর্শন, স্থানীয় সুধিজনদের সাথে মতবিনিময় ও ১০০ জন দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।