ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে দেশে চাপে, আদানি সাম্রাজ্যে পতনধ্বনি!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৪২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৯ বার পড়া হয়েছে

ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে এবার সমন জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। সরকারি কর্মকর্তাদের কয়েক মিলিয়ন ডলার ঘুষ দেওয়া ও বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের তথ্য গোপনের ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ায় এই সমন জারি করেছে দেশটি। আদানি গ্রুপের দুই নির্বাহী গৌতম আদানি এবং তার ভাতিজা সাগর আদানির নামে এ সমন জারি করে ২১ দিনের মধ্যে এই অভিযোগের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয়, সম্প্রতি ভারতের আলোচিত ব্যবসায়ী গ্রুপ আদানি আরও কয়েকটি দেশে বেশ চাপে পড়েছে। এরই মধ্যে আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা দুটি চুক্তি বাতিল করেছে কেনিয়া। অস্ট্রেলিয়ায় আদানির কয়লা খনিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। আর বাংলাদেশের সঙ্গে অসম বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নিয়েও এখন কাঠগড়ায় আদানি গ্রুপ। এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশে আদানির চুক্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

বিভিন্ন দেশে বেকায়দায় পড়ায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বাজারে। ভারতে আদানি গ্রুপ ৩৪০০ কোটি ডলারের বাজার হারিয়েছে শেয়ারবাজারে। এর ফলে তার ১০টি সংস্থার কম্বাইন্ড ক্যাপিটাল ক্যাপিটালাইজেশন বা সম্মিলিত বাজার মূলধন ১৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এত ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতের সামগ্রিক অর্থনীতি।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গত বুধবার নিউইয়র্কে গৌতম আদানি ও তার সহযোগীদের অভিযুক্ত করা হয় ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে। এতে বলা হয়, লোভনীয় সরকারি কাজ পেতে তারা ২৫ কোটি ডলারের বেশি ঘুষ দিয়েছেন। এরপরই তার কোম্পানির শেয়ার বিক্রির ধুম পড়ে যায়।

কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতের বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী গৌতম আদানিকে গ্রেফতারের দাবি জানান। আদানির গ্রেফতার চেয়ে বিক্ষোভ করেছে কংগ্রেস। এছাড়া আসন্ন লোকসভা অধিবেশনে আদানি ইস্যুতে পার্লামেন্ট গরম হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।

অনলাইন বিবিসিতে সাংবাদিক সৌতিক বিশ্বাস লিখেছেন, মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনী গৌতম আদানি যুক্তরাষ্ট্রে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় উদ্‌যাপন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত প্রকল্পে ১০০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু এখন ৬২ বছর বয়সী ভারতীয় এই ধনকুবের এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশে এবং বিদেশে তার উচ্চাভিলাস সম্বলিত যে পরিকল্পনা করেছিলেন, তা বিপন্ন হতে পারে। তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিভিন্ন বন্দর ও নবায়নয়যোগ্য জ্বালানির বিস্তৃত সাম্রাজ্যে আছে তার ১৬৯০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ।

রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, ভারতের আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি ডলারের বেশি অর্থের চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া। নিউ ইয়র্কের আদালতে ঘুষকাণ্ডের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদানি এবং তার ভাতিজা সাগর আদানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরপরই এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা জানান তিনি। ভাষণে তিনি বলেন, আমাদের তদন্ত সংস্থা ও অংশীদার দেশগুলোর দেওয়া নতুন তথ্যের ভিত্তিতে চুক্তিগুলো বাতিল করা হয়েছে। যদি দুর্নীতির বিষয়ে নিশ্চিত প্রমাণ বা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য আসে, আমি কঠোর পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবো না। তার এই বক্তব্যে কেনিয়ার সংসদ সদস্যরাও সায় দিয়েছেন।

কেনিয়ার জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দ্বিতীয় রানওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশটির সঙ্গে প্রায় ২০০ কোটি ডলারের চুক্তি ছিল আদানি গ্রুপের। পাশাপাশি জ্বালানি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকেও অবিলম্বে চুক্তি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন রুটো। কেনিয়ার তদন্তকারী সংস্থা ও অংশীদার দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নতুন তথ্যের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুটো।

গত কয়েক বছরে গৌতম আদানির উত্থান হয়েছে অনেকটা রকেটের গতিতে। একসময় তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু বিতর্ক তার পিছু ছাড়ছে না। অভিযোগ রয়েছে, হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে তিনি সুবিধা পেয়েছেন।

সাম্প্রতিক অভিযোগ আদানির বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় একটি বাধা সৃষ্টি করতে পারে। কেনিয়া ও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অধিগ্রহণ এবং একটি বিতর্কিত জ্বালানি চুক্তিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে গ্রুপটি।

এদিকে বিদ্যুৎ সেক্টরে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশেও আলোচিত-সমালোচিত আদানি গ্রুপ। ভারতের প্রভাবশালী এই গ্রুপটির সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। তবে চুক্তিকে অসম ও দেশবিরোধী আখ্যায়িত করে সম্প্রতি হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আদালত রুলসহ একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন। রুলে অসম, অন্যায্য ও দেশের স্বার্থ পরিপন্থি দাবি করে চুক্তিটি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই অবস্থায় বাংলাদেশেও আদানির বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দেশে দেশে চাপে, আদানি সাম্রাজ্যে পতনধ্বনি!

আপডেট সময় : ১১:৪২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে এবার সমন জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। সরকারি কর্মকর্তাদের কয়েক মিলিয়ন ডলার ঘুষ দেওয়া ও বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের তথ্য গোপনের ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ায় এই সমন জারি করেছে দেশটি। আদানি গ্রুপের দুই নির্বাহী গৌতম আদানি এবং তার ভাতিজা সাগর আদানির নামে এ সমন জারি করে ২১ দিনের মধ্যে এই অভিযোগের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয়, সম্প্রতি ভারতের আলোচিত ব্যবসায়ী গ্রুপ আদানি আরও কয়েকটি দেশে বেশ চাপে পড়েছে। এরই মধ্যে আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা দুটি চুক্তি বাতিল করেছে কেনিয়া। অস্ট্রেলিয়ায় আদানির কয়লা খনিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। আর বাংলাদেশের সঙ্গে অসম বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নিয়েও এখন কাঠগড়ায় আদানি গ্রুপ। এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশে আদানির চুক্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

বিভিন্ন দেশে বেকায়দায় পড়ায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বাজারে। ভারতে আদানি গ্রুপ ৩৪০০ কোটি ডলারের বাজার হারিয়েছে শেয়ারবাজারে। এর ফলে তার ১০টি সংস্থার কম্বাইন্ড ক্যাপিটাল ক্যাপিটালাইজেশন বা সম্মিলিত বাজার মূলধন ১৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এত ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতের সামগ্রিক অর্থনীতি।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গত বুধবার নিউইয়র্কে গৌতম আদানি ও তার সহযোগীদের অভিযুক্ত করা হয় ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে। এতে বলা হয়, লোভনীয় সরকারি কাজ পেতে তারা ২৫ কোটি ডলারের বেশি ঘুষ দিয়েছেন। এরপরই তার কোম্পানির শেয়ার বিক্রির ধুম পড়ে যায়।

কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতের বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী গৌতম আদানিকে গ্রেফতারের দাবি জানান। আদানির গ্রেফতার চেয়ে বিক্ষোভ করেছে কংগ্রেস। এছাড়া আসন্ন লোকসভা অধিবেশনে আদানি ইস্যুতে পার্লামেন্ট গরম হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।

অনলাইন বিবিসিতে সাংবাদিক সৌতিক বিশ্বাস লিখেছেন, মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনী গৌতম আদানি যুক্তরাষ্ট্রে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় উদ্‌যাপন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত প্রকল্পে ১০০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু এখন ৬২ বছর বয়সী ভারতীয় এই ধনকুবের এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশে এবং বিদেশে তার উচ্চাভিলাস সম্বলিত যে পরিকল্পনা করেছিলেন, তা বিপন্ন হতে পারে। তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিভিন্ন বন্দর ও নবায়নয়যোগ্য জ্বালানির বিস্তৃত সাম্রাজ্যে আছে তার ১৬৯০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ।

রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, ভারতের আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি ডলারের বেশি অর্থের চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া। নিউ ইয়র্কের আদালতে ঘুষকাণ্ডের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদানি এবং তার ভাতিজা সাগর আদানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরপরই এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা জানান তিনি। ভাষণে তিনি বলেন, আমাদের তদন্ত সংস্থা ও অংশীদার দেশগুলোর দেওয়া নতুন তথ্যের ভিত্তিতে চুক্তিগুলো বাতিল করা হয়েছে। যদি দুর্নীতির বিষয়ে নিশ্চিত প্রমাণ বা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য আসে, আমি কঠোর পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবো না। তার এই বক্তব্যে কেনিয়ার সংসদ সদস্যরাও সায় দিয়েছেন।

কেনিয়ার জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দ্বিতীয় রানওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশটির সঙ্গে প্রায় ২০০ কোটি ডলারের চুক্তি ছিল আদানি গ্রুপের। পাশাপাশি জ্বালানি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকেও অবিলম্বে চুক্তি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন রুটো। কেনিয়ার তদন্তকারী সংস্থা ও অংশীদার দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নতুন তথ্যের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুটো।

গত কয়েক বছরে গৌতম আদানির উত্থান হয়েছে অনেকটা রকেটের গতিতে। একসময় তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু বিতর্ক তার পিছু ছাড়ছে না। অভিযোগ রয়েছে, হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে তিনি সুবিধা পেয়েছেন।

সাম্প্রতিক অভিযোগ আদানির বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় একটি বাধা সৃষ্টি করতে পারে। কেনিয়া ও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অধিগ্রহণ এবং একটি বিতর্কিত জ্বালানি চুক্তিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে গ্রুপটি।

এদিকে বিদ্যুৎ সেক্টরে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশেও আলোচিত-সমালোচিত আদানি গ্রুপ। ভারতের প্রভাবশালী এই গ্রুপটির সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। তবে চুক্তিকে অসম ও দেশবিরোধী আখ্যায়িত করে সম্প্রতি হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আদালত রুলসহ একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন। রুলে অসম, অন্যায্য ও দেশের স্বার্থ পরিপন্থি দাবি করে চুক্তিটি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই অবস্থায় বাংলাদেশেও আদানির বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।