‘তারেক রহমানকে রাজনীতির বাইরে রাখতেই বিচার কাজ শুরু’
- আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে রাজনীতির বাইরে রাখতেই মিথ্যা মামলার বিচার কাজ শুরু করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি। গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় চার্জ গঠন ও বিচার শুরু করায় ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, বিরোধীদল নির্মূলের নীল নকশার অংশ হিসেবে ১/১১ অবৈধ সরকারের সঙ্গে যোগসাজশে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার শত্রুরা পরিকল্পিতভাবে জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, প্রহসনমূলক বিচার ও ফরমায়েসী রায় দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার হীন চক্রান্ত করে আসছে।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মিথ্যা মামলার বিচার কাজ শুরু করার লক্ষ্য হচ্ছে তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের রাজনীতির বাইরে রাখা। প্রকৃত পক্ষে অবৈধ সরকার দেশকে গণতন্ত্রহীন এক দলীয় শাসনব্যবস্থার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। শুধু জিয়া পরিবারর নয়, স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, গণতন্ত্রকামী বিরোধীদলের প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মী ও সমর্থনকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা, গ্রেফতার, কারাগারে নির্যাতন, গুম ও খুনের মাধ্যমে সারাদেশে ভয়ের রাজত্ব সৃষ্টি করছে। তাদের লক্ষ্য, দেশে কর্তৃত্ববাদী এক নায়েকতান্ত্রীক ফ্যাসীবাদকে চিরস্থায়ী করা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত জনগণ গ্রহণ করবে না। জনগণের ঐক্যবদ্ধ দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ সরকারকে বাধ্য করতে হবে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে বেগম খালেদা জিয়াসহ বন্দিদের মুক্তি দিতে। তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানসহ সকল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে। অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পার্লামেন্ট ও জনগণের সরকার গঠন করাই এই সময়ে সারাদেশের জনগণের দাবি।
সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণকে এই লক্ষে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
বঙ্গবাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ উদঘাটন না করে বিরোধীদলের প্রতি আঙ্গুল তোলা ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর কৌশল। অগ্নিকাণ্ডগুলো এই অবৈধ সরকারের ব্যর্থতার কারণে সংগঠিত হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত দফতর ও সংগঠনগুলোর তদারকির অভাব, সীমাহীন উদাসীনতা এবং দুর্নীতির কারণেই পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। এটি জনগণকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থেকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপকৌশল মাত্র।
এ সময় অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি এমপি-মন্ত্রীদের বিএনপিকে দোষারোপ করায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানানও ফখরুল।
এছাড়া বৈঠকে আগামী ১ মে আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয় বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। এ সময় বিএনপি নেতা জহিরউদ্দিন স্বপন ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।