তানোরে সাংবাদিকের বাড়িতে চোরাগুপ্তা হামলা, মা ও ভাগ্নেকে কুপিয়ে জখম

- আপডেট সময় : ১০:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫ ৪২ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর তানোরে এক সাংবাদিকের বাড়িতে রাতে চোরাগুপ্তা হামলা করে তার মা ও ভাগ্নেকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এসময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েভর্তি করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতালে ছুটে যান থানার ওসি আফজাল হোসেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টা দিকে তানোর পৌরসভার বাজে আকচা গ্রামে সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। পরে অবস্থা বেগতিক লক্ষ্য করে কর্তব্য চিকিৎসক ভাগ্নে জিৎকে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
জানা গেছে, সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর পরিবার প্রতিদিনের ন্যায় রাতে দরজা বন্ধ করে বাড়িয়ে শুয়ে পড়েন। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে বাইরে বের হন বিশ্বজিৎ চৌধুরীর মা লক্ষী রানী (৬৫)। বাথরুম থেকে বের হতেই বাড়ির ভিতরে দুই জনকে দেখতে পায় তার মা।
এসময় চোর চোর বলে চিৎকার দিলে ডাকাতরা দৌড়ে এসে তার মুখ চেপে ধরে। এমন শব্দ শুনে দ্রুত বাইরে দৌড়ে আসে ১০ বছরের ভাগ্নে জিৎ। এসময় ডাকাতের হাতে থাকা দা/কুপদা দিয়ে জিৎ এর মাথায় নৃশংসভাবে এলোপাতাড়ি কোপ মারে। এতে মাথায় ৩-৪ জায়গায় গুরুত্বর জখম হয়। এসময় তারা চিৎকার চেচামেচি করলে গ্রামবাসি এগিয়ে আসে। এরপর অবস্থা খারাপ দেখে ডাকাতরা দ্রুত পালিয়ে যায়। জিৎ ১০ বছর বয়সি আকচা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। অবশ্য ঘটনার সময় সাংবাদিক বিশ্বজিৎ বাড়িতে ছিলেন না।
প্রতিবেশিরা ধারণা করছেন, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ছাঁদ দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে আত্নগোপনে গোপনে ছিলেন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসিরা। সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী পেশায় দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার সাংবাদিক, তানোর রিপোর্টার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও পুরোহিত বা হিন্দু শাস্ত্রের কাজী।
এনিয়ে বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ঘটনার সময় আমি রাজশাহী শহরে ছিলাম। এ সুযোগে এলাকার দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসিরা ছাঁদ দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে আত্নগোপনে থাকে। পরে তাকে না পেয়ে তার মা ও ভাগ্নেকে চোরাগুপ্তা হামলা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসিরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান তানোর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান। তারা ঘটনাটিকে গভীর উদ্বেগজনক এবং কাপুরুষোচিত আখ্যা দিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি এবং দোষীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।