• বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন

তানোরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গমে সেচের পানি পেয়েছেন প্রান্তিক কৃষক গনি

আশরাফুল আলম , তানোর থেকেঃ / ১৩৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২

রাজশাহীর তানোরে অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পার্শ্বের গভীর নলকুপ থেকে প্রান্তিক কৃষক আব্দুল গনির গমের জমিতে সেচের পানি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুল গনি তার গমের জমিতে সেচের পানি পেয়েছেন। ফলে, মরতে বসা আব্দুর গনির ৫ বিঘা জমির গমের আবাদ প্রশাসনের সু-দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপে বেচে গেলো।

তবে, ওই গভীর নলকুপটি তার ব্যক্তিগত দাবি করে অপারেটর কৃষ্ণপুর গ্রামের প্রভাবশালী আব্দুল মান্নান প্রশাসনের আদেশ নির্দেশ অমান্য করে আব্দুর গনির গমের জমিতে সেচ প্রদান করতে রাজি না হওয়ায় পার্শ্বে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকুপ থেকে গমের জমিতে সেচ প্রদান করা হয়েছে।

প্রান্তিক কৃষক আব্দুল গনি বলেন, গমের জমিতে সেচের পানির জন্য তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছিলেন না।

পরে পত্রিকায সংবাদ প্রকাশের পর গত মঙ্গলবার বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে অপারেটর আব্দুর মান্নানকে সেচ দিতে বলেন।

কিন্তু আব্দুল মান্নানকে আমার জমিতে সেচ দেয়াতে রাজি করাতে না পারায় পার্শ্বের গভীর নরকুপ অপারেটর সাদেকের নলকুপ থেকে সেচ প্রদানের ব্যবস্থা করেন। আজ বৃহস্পতিবার আমার গমেরজমিতে সেচের পানি পেয়েছি বলেও জানান প্রান্তুিক কৃষক আব্দুল গনি।

এব্যাপারে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুচমজুর রহমান বলেন, কৃষক আব্দুল গনির গমের জমিতে সরেজমিন গিয়ে পার্শ্বের গভীর নলকুপ থেকে সেচ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের জৈনক ব্যক্তির পুত্র প্রভাবশালী অপাররটর আব্দুল মান্নানের সাথে একই গ্রামের জৈনক ব্যক্তির পুত্র আব্দুল গনির মধ্য জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ চলে আসছে।

এরই সুত্র ধরে অপারেটর আব্দুর মান্নান আব্দুল গনির কৃষ্ণপুর মাঠের ৫ বিঘা গমের জমিতে সেচের পানি দিচ্ছিমিলেন না। ফলে, সেচের অভাবে মরতে বসেছিলো আব্দুর গনির ৫ বিঘা জমির গম।

এবিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ সংবাদ প্রকাশের পর তানোর উপজেলা প্রশাসন ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ