ঢাকা ০১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিবিপ্রধান হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১০:২৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

প্রায় দেড় মাস আগে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন আদালত।

রোববার (২২ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত আবেদন খারিজ করে দেন। এর আগে সকালে ওই আদালতে মামলার আবেদন করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমউদ্দিন আলম। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছিল আদালত।

বাদীপক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার শুনানি করেন। মামলার আবেদনে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার মেহেদি হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান, এসি মতিঝিল জোন গোলাম রুহানি, আনসার সদস্য আল আমিন ওরফে মাহিদুর রহমানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০০-৩০০ পুলিশ সদস্য।

মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হারুন অর রশিদ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ঢাকা, মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা প্রধান তার সঙ্গে ১০/১২ জন বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে নিচতলার তালা ভেঙে এবং পাশে স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে আচ্ছাদিত স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং ম্যুরালটির বাম চোখের অংশ লোহার সাবল দিয়ে আঘাত করে চোখে পরিহিত কালো সান গ্লাসটি ভেঙে ফেলে।

পরে আসামিরা মিলে ২য় তলায় প্রবেশ করে এবং ২য় তলার মেইন দরজার তালা ভেঙে অবৈধভাবে ভেতরে প্রবেশ করে এবং প্রথমেই ডান দিকে থাকা বিএনপির হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কক্ষে তালা ভেঙে প্রবেশ করে। হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেনের কক্ষে টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে ফেলে এবং ১টি কম্পিউটার ও একটি প্রিন্টার মেশিন ডাকাতি করে নেয়। যার মূল্য এক লাখ টাকা।

বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কক্ষের ডান দিকের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে টেবিলের গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং সোফাসহ আসবাবপত্র তছনছ করে ক্ষতি সাধন করে। ক্ষতির পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার টাকা। ২য় তলার উত্তর দিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কক্ষের ডান দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ১টি কম্পিউটার, একটি এলইডি টিভি ও দুটি রাউটারের ক্ষতি সাধন করে, যার মূল্য নব্বই হাজার টাকা।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশের তিন দিন আগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হন। আহত হন পুলিশসহ অনেকে।

সংঘর্ষের পর সেদিনই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মীকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডিবিপ্রধান হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

আপডেট সময় : ১০:২৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

প্রায় দেড় মাস আগে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন আদালত।

রোববার (২২ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত আবেদন খারিজ করে দেন। এর আগে সকালে ওই আদালতে মামলার আবেদন করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমউদ্দিন আলম। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছিল আদালত।

বাদীপক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার শুনানি করেন। মামলার আবেদনে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার মেহেদি হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান, এসি মতিঝিল জোন গোলাম রুহানি, আনসার সদস্য আল আমিন ওরফে মাহিদুর রহমানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০০-৩০০ পুলিশ সদস্য।

মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হারুন অর রশিদ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ঢাকা, মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা প্রধান তার সঙ্গে ১০/১২ জন বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে নিচতলার তালা ভেঙে এবং পাশে স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে আচ্ছাদিত স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং ম্যুরালটির বাম চোখের অংশ লোহার সাবল দিয়ে আঘাত করে চোখে পরিহিত কালো সান গ্লাসটি ভেঙে ফেলে।

পরে আসামিরা মিলে ২য় তলায় প্রবেশ করে এবং ২য় তলার মেইন দরজার তালা ভেঙে অবৈধভাবে ভেতরে প্রবেশ করে এবং প্রথমেই ডান দিকে থাকা বিএনপির হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কক্ষে তালা ভেঙে প্রবেশ করে। হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেনের কক্ষে টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে ফেলে এবং ১টি কম্পিউটার ও একটি প্রিন্টার মেশিন ডাকাতি করে নেয়। যার মূল্য এক লাখ টাকা।

বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কক্ষের ডান দিকের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে টেবিলের গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং সোফাসহ আসবাবপত্র তছনছ করে ক্ষতি সাধন করে। ক্ষতির পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার টাকা। ২য় তলার উত্তর দিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কক্ষের ডান দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ১টি কম্পিউটার, একটি এলইডি টিভি ও দুটি রাউটারের ক্ষতি সাধন করে, যার মূল্য নব্বই হাজার টাকা।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশের তিন দিন আগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হন। আহত হন পুলিশসহ অনেকে।

সংঘর্ষের পর সেদিনই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মীকে।