ডাক্তারদের কর্মবিরতি অব্যাহত, খুলনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি দল
- আপডেট সময় : ০৪:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩ ৯০ বার পড়া হয়েছে
সহকর্মীকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার খুলনায় তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন ডাক্তাররা। সরকারি-বেসরকারি সব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে বন্ধ রয়েছে চিকিৎসাসেবা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের।শুক্রবার সকালে মেডিকেলে বিনা চিকিৎসায় এক রোগী মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। অতি জরুরি চিকিৎসা না পেয়ে উৎকণ্ঠায় অনেক রোগী। বন্ধ রয়েছে নির্ধারিত অপারেশনও। চিকিৎসা না পেয়ে এরইমধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছেন অনেকে। বন্ধ রয়েছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোও।
কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা করতে খুলনা এসেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। শুক্রবার দুপুরে বিএমএ ভবনে ডাক্তার নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। সেখানে বিএমএ, ক্লিনিক মালিকসহ চিকিৎসক সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
ডা. নিশাত আবদুল্লাহ’র ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ৬টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) জরুরি সভা শেষে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন সংগঠনের জেলা সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ, রোগী ও তাদের স্বজনরা। বিষয়টি সরকারের উচ্চমহলেও উদ্বেগ তৈরি করে। তারই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার খুলনার বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী দেখেন। বৃহস্পতিবার রাতে ধর্মঘটে একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েনমেন্ট বাতিল করেছেন তারা। এছাড়া বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি প্রত্যাহার হবে-এমন ধারণা থেকে অনেক ডাক্তার শুক্রবার ব্যক্তিগত চেম্বারের রোগীদের সিরিয়াল নিয়েছেন, সেগুলোও বাতিল করা হয়েছে।
ডাক্তারদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) বলছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর একটি ক্লিনিকে চিকিৎসক নিশাত আবদুল্লাহর ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। পাশাপাশি নিশাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যহারের দাবিও জানান তারা।