ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতায় রুয়েটে শিক্ষকসহ ৪ জন বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক//
  • আপডেট সময় : ১২:১৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে

জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া, আন্দোলন দমনে সংশ্লিষ্টতা এবং কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)-এর আওয়ামীপন্থি শিক্ষক ও কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ১০৮ তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে রাতে জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মুরতুজা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরখাস্ত শিক্ষক হলেন, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিদ্ধার্থ শংকর সাহা। বরখাস্তকৃত অন্য দুই কর্মকর্তা হলেন, প্রকৌশল শাখার সহকারী প্রকৌশলী ও রুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাঈম রহমান নিবিড় এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের ডাটা প্রসেসর ও কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. মহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের প্রকৌশলী ও ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক প্রকৌশলী হারুন অর রশিদকে তার চাকুরী হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও জুলাই হামলায় ইন্ধনসহ নিয়োগ ও টেন্ডার বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র আন্দোলনে সরকারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, নির্যাতন-সহিংসতায় সম্পৃক্ততা, আওয়ামী সরকারের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার অভিযোগও আছে এদের বিরুদ্ধে। তবে ৫ আগস্ট পরবর্তী বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বরখাস্তকৃত নাঈম রহমান নিবিড় ও মো. মহিদুল ইসলাম গত ৪ আগস্ট ধারালো অস্ত্রসহ রুয়েটের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া ও বোমা হামলায় সংশ্লিষ্টতা দৃশ্যমান হয়।

পাশাপাশি ইতিপূর্বে বরখাস্তকৃত শিক্ষক সিদ্ধার্থ শংকরকে জুলাই বিরোধী অবস্থান, আন্দোলনে আহত ও নিহতদের অবমাননার অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছিল। তাকে বরখাস্তের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে এবং পরবর্তীতে প্রশাসনের কাছে আবেদনপত্র দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতায় রুয়েটে শিক্ষকসহ ৪ জন বরখাস্ত

আপডেট সময় : ১২:১৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া, আন্দোলন দমনে সংশ্লিষ্টতা এবং কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)-এর আওয়ামীপন্থি শিক্ষক ও কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ১০৮ তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে রাতে জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মুরতুজা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরখাস্ত শিক্ষক হলেন, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিদ্ধার্থ শংকর সাহা। বরখাস্তকৃত অন্য দুই কর্মকর্তা হলেন, প্রকৌশল শাখার সহকারী প্রকৌশলী ও রুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাঈম রহমান নিবিড় এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের ডাটা প্রসেসর ও কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. মহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের প্রকৌশলী ও ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক প্রকৌশলী হারুন অর রশিদকে তার চাকুরী হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও জুলাই হামলায় ইন্ধনসহ নিয়োগ ও টেন্ডার বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র আন্দোলনে সরকারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, নির্যাতন-সহিংসতায় সম্পৃক্ততা, আওয়ামী সরকারের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার অভিযোগও আছে এদের বিরুদ্ধে। তবে ৫ আগস্ট পরবর্তী বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বরখাস্তকৃত নাঈম রহমান নিবিড় ও মো. মহিদুল ইসলাম গত ৪ আগস্ট ধারালো অস্ত্রসহ রুয়েটের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া ও বোমা হামলায় সংশ্লিষ্টতা দৃশ্যমান হয়।

পাশাপাশি ইতিপূর্বে বরখাস্তকৃত শিক্ষক সিদ্ধার্থ শংকরকে জুলাই বিরোধী অবস্থান, আন্দোলনে আহত ও নিহতদের অবমাননার অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছিল। তাকে বরখাস্তের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে এবং পরবর্তীতে প্রশাসনের কাছে আবেদনপত্র দেয়।