ছাতকে পছন্দের বিদ্যালয়ে বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৪:০৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩ ১০৭ বার পড়া হয়েছে
সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা আব্দুর রহমান ও ছাতক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মাসুম মিয়ার বিরুদ্ধে
নানা অনিয়ম দুনীতি, নতুন শিক্ষক নিয়োগ ও পছন্দের বিদ্যালয়ে বদলি করার নামে শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে দু কর্মকতার বিরুদ্ধে। প্রাথমিক (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকতার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নারী কেলেংকারী,অনিয়ম ক্ষুত্র মেরামতে টাকার লুটপাট ওটাকা ছাড়া কোন ফাইলে স্বাক্ষর দেন না । এ সিন্ডিকেট চত্রেুর মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ইতি মধ্যেই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুনীতি ঘুস বানিজ্যে একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ছাতকে মানিক মিয়া ও রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক পৃথক ২৬ জানুয়ারী ও ২৮ ফেরুয়ারি ঢাকার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে মহা পরিচালক,সিলেটের০ বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, সিলেটের দুনীতি দমন কমিশনার দুদকের ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়,ছাতকে সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষা ২০২০ ইং এর প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে নিয়োগ প্রাপ্ত ৯৫ জন শিক্ষক ২২ জানুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগদান করেছেন।২৩ জানুয়ারি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পদায়নকৃতদের স্ব- স্ব কর্মস্থলে যোগদানের জন্য বলা হয়েছে। প্রতি শিক্ষকদের নামের সাথে পদায়নকৃত বিদ্যালয়ের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে এ নিয়ে শিক্ষক ও গার্ডিয়ানদের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে।পছন্দের বিদ্যালয়ে পদায়নের জন্য প্রতি শিক্ষককে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে জেলা ও উপজেলার দু কর্মকতাকে ।
গত ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইংরেজী শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ও ১৯ ফেব্রুয়ারী পবিত্র শবে-ই মেরাজের ছুটি থাকায় বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ছিল। ২০ ফেব্রুয়ারী বিদ্যালয় খোলা পাঠদান বন্ধ করে বিদ্যালয় থেকে ছুটি না নিয়ে চলে যান সফরে। আবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইংরেজী মহান শহীদ ও আন্তার্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিবসে পাঠদান বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের ছুটি নেয়ার সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারী পাঠদান বন্ধ থাকার এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ জেলার দায়িত্ব কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা জেলা ও ছাতক উপজেলা শিক্ষা কর্মকতার বিরুদ্ধে লিখিত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রনালয় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আনন্দ ভ্রমনের ব্যানারে প্রধান অতিথি ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা এস এম আব্দুর রহমান। এ অনিয়ম দুনীতির ঘটনার পর থেকে
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা আব্দুর রহমান ছুটিতে চলে গেছেন বলে অফিস সুত্রে জানায়।
সরকারি কোন ছুটি না সত্ত্বে ও দুজন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে তারা আনন্দ
ভ্রমনে গেছেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছিল।এ ঘটনায় ছাতক উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরা সহকারি শিক্ষক সমিতির প্রায় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা ফেসে যাচ্ছেন।এছাড়াও ২০ ২২ ও ২৩ সালে জেলা শিক্ষা কর্মকতা আব্দুর রহমান উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকতা মাসুম মিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের ভালো স্থানে পোস্টিং বানিজ্য,টাকার বিনিময়ে বদলী বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এ দুনীতির সঙ্গে উপজেলার নোয়ারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বংকিম আচার্য্য, , মন্ডলীভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলালুল ইসলাম, চদা শিক্ষক আশিষ কুমার দাস, দুলন তরফদার, শিক্ষক প্রনব দাশ মিটুসহ এক শ্রেনীর কিছু অসাধু শিক্ষকদের মাধ্যমে এসব সিন্ডিকেট তৈরী করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন শিক্ষা কর্মকতা মাসুম। প্রায়-ই এই শিক্ষকদের নিয়ে রাত ৯/১০টার পর শিক্ষা অফিসের বাইরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ভিতরে বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করার অভিযোগ উঠেছে এদের বিরুদ্ধে। যা গোপনে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বেড়িয়ে আসবে। তারা সিন্ডিকেট করে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে সবসময় অফিসেই বসে আড্ডা দিয়ে সময় পার করেছেন তারা।
এব্যাপারে প্রাথমিক (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকতা মাসুম মিয়া তার বিরুদ্ধে আনীতি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন শিক্ষা সফরে ঘটনা সত্য। তবে তারা প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে তারা ছুটি নেন।
এব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা আব্দুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ নয় খোলা রেখে শিক্ষা সফরে তিনি গেছেন।
এব্যাপারে সিলেটের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগীয় অধিপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন জানান,শিক্ষা প্রতিষ্টানের পাঠদান বন্ধ রেখে শিক্ষকরা শিক্ষা সফরে যাবার কোন এখতিয়ার নেই । এছাড়া জেলা ও উপজেলার দু শিক্ষা কর্মকতার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগের প্রাপ্তির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তদন্তপ্বুক আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।