চীনের প্রভাবশালী নেতা শি জিনপিং দেশটির পার্লামেন্টের মাধ্যমে ঐতিহাসিক তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মাধ্যমে চীনা প্রেসিডেন্ট শির ক্ষমতা আরও সংহত হয়েছে। ৬৯ বছর বয়সী এ নেতা দেশটির বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন।
চীনের শাসন ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট পদ হচ্ছে একটি আনুষ্ঠানিক ও আলংকারিক পদ।
শি জিনপিং মূলত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি এবং দেশটির সামরিক বিভাগ সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে বিপুল ক্ষমতার অধিকারী হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শির তৃতীয় মেয়াদের নিশ্চিতকরণ ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত ছিল। আগামী দিনগুলোতে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করা হবে। এ বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সব মন্ত্রীরা শির অনুগত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি লি কিয়াংকেও নতুনভাবে নিযুক্ত করা হবে। তিনি চীনের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি বলে পরিচিত।
এর আগে জিরো-কোভিড নীতিকে কেন্দ্র করে শি তার ক্ষমতাকে আরও দৃঢ় করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি আবারও চীনকে বাকি বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
এই সপ্তাহে দেশটির ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস এবং চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) দু’টি অধিবেশন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কারণ, আগামী বছরগুলোতে চীন কীভাবে চলবে তা নির্ধরণ করা হয় এসব অধিবেশনে।
এর আগে চীনা নেতারা দুই মেয়াদের বেশি দেশটির প্রেসিডেন্ট হতেন না। কিন্তু ২০১৮ সালে শি জিনপিং এই বিধিনিষেধটি পরিবর্তন করেছিলেন।
সূত্র : বিবিসি