ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চার মামলায় খালাস পেলেন ‘শিশুবক্তা’ মাদানী

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর মতিঝিল, তেজগাঁও, পল্টন ও গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা পৃথক চার মামলায় খালাস পেয়েছেন আলোচিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী।

বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাদানীর আইনজীবী ফজলে রাব্বী জানান, এসব মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে ছিল। দীর্ঘদিন সাক্ষী না আসায় এবং আগের দেওয়া সাক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ায় আমরা আদালতে তার খালাস চেয়ে আবেদন করি। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তাকে এসব মিথ্যা মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।

খালাস পাওয়ার পর রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেন, ‘মামলার ঘানি টানা কষ্টকর। আমার বিরুদ্ধে মোট সাতটি মামলার মধ্যে হাসিনার পতনের পর আজ চার মামলায় খালাস পেলাম। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় তার সবগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেছেন আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সব ভূয়া। তাই আদালতে চলা সবগুলো মামলা থেকে আমাকে খালাস দিয়েছেন। আমি অনেক খুশি এবং দোয়া করি এ দেশের প্রত্যেক আলেম যেন মিথ্যা সকল মামলা থেকে মুক্তি পান।

জানা যায়, রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় রফিকুল ইসলামসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

একই অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। ২০২১ সালের ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাব-১ এর সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক।

২০২১ সালের ১১ এপ্রিল মো. মামুন নামের একজন বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল গাজিপুরের বাসন থানায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চার মামলায় খালাস পেলেন ‘শিশুবক্তা’ মাদানী

আপডেট সময় : ০৩:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর মতিঝিল, তেজগাঁও, পল্টন ও গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা পৃথক চার মামলায় খালাস পেয়েছেন আলোচিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী।

বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাদানীর আইনজীবী ফজলে রাব্বী জানান, এসব মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে ছিল। দীর্ঘদিন সাক্ষী না আসায় এবং আগের দেওয়া সাক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ায় আমরা আদালতে তার খালাস চেয়ে আবেদন করি। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তাকে এসব মিথ্যা মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।

খালাস পাওয়ার পর রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেন, ‘মামলার ঘানি টানা কষ্টকর। আমার বিরুদ্ধে মোট সাতটি মামলার মধ্যে হাসিনার পতনের পর আজ চার মামলায় খালাস পেলাম। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় তার সবগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেছেন আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সব ভূয়া। তাই আদালতে চলা সবগুলো মামলা থেকে আমাকে খালাস দিয়েছেন। আমি অনেক খুশি এবং দোয়া করি এ দেশের প্রত্যেক আলেম যেন মিথ্যা সকল মামলা থেকে মুক্তি পান।

জানা যায়, রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় রফিকুল ইসলামসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

একই অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। ২০২১ সালের ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাব-১ এর সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক।

২০২১ সালের ১১ এপ্রিল মো. মামুন নামের একজন বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল গাজিপুরের বাসন থানায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।