ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এক বছরে অভিবাসন পথে প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু পরীক্ষা বর্জন ও ময়মনসিংহে সড়ক অবরোধ করে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন বিমান বাহিনী প্রধান গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিক্ষোভ সুন্দরবন সুরক্ষায় দূষণ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমনের আহবান হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে : মিলন আগামী দিনে বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য: মিনু ‘যেসব গণমাধ্যম সাংবাদিকদের সম্মানজনক বেতন দেবে না তাদের আর দরকার নেই’ পুঠিয়ায় কুপিয়ে জখম করে ছিনতাই ভুট্টুর বালুমহালের লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন

গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ অপসারণে দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

ফজল উদ্দিন, ছাতক প্রতিেবদকঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩ ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জের ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের অপসারণে দাবীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।
(গত ০৭ জানুয়ারী) শনিবার সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কলেজ শিক্ষার্থীদের দেওয়া কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৮ জানুয়ারী মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি। ৯ জানুয়ারী বিক্ষোভ মিছিল ও সর্বদলীয় ছাত্র ধর্মঘট এবং ১২ জানুয়ারী মানববন্ধন। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আলী আশরাফ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারী ক্লাস করার জন্য কলেজে প্রবেশ করে অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো: রেজা।
কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক ওই ছাত্রকে বলেন তোমার হাটাচলার ধরণ ভালা না। এ কথার জের ধরে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক কলেজের অন্যান্য শিক্ষকদের ডেকে আনেন এবং তাকে বেধড়ক মারপিঠ করে আহত করেন।
নির্যাতনের এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পর কলেজ গভর্ণিংবডি ও এলাকাবাসীকে তোয়াক্কা না করে পুলিশ ডেকে এনে নির্যাতিত কলেজ ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করেন অধ্যক্ষ।
ছাত্রকে নির্যাতনের প্রতিবাদে ও তার মুক্তি এবং অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের অপসারণের দাবীতে গোবিন্দগঞ্জে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করে শিক্ষার্থীরা। পরে আটককৃত ওই ছাত্রকে থানা থেকে মুক্তি দেয়া হলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা সাময়িক প্রত্যাহার করে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ৫০ বছর পূর্তি ও সূবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম সিরাজুল ইসলাম ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মহান মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম লুৎফুর রহমান সরকুমকে নিয়ে স্মৃতিচারণ না করে চরম ভাবে অবমাননা করা হয়েছে। কলেজের এ অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষার্থীরা প্রবাস থেকে বড় অংকের টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করেছে।
৫০ বছর পূর্তি ও সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক প্রায় ২ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন। ওই অধ্যক্ষ গোবিন্দগঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকে এলাকাবাসীকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কলেজের আয়-ব্যয় ও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৫০ বছর পূর্তি ও সূবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয় ব্যয়ের হিসেব দেন নাই।
কলেজ শিক্ষার্থী মো: রেজাকে নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়িত অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকসহ সকল শিক্ষকদের অপসারণের দাবী ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।
বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকসহ সংশ্লিষ্টদের সু-দৃষ্টি কামনা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কলেজের এইচ এসসি ফল প্রার্থী রবি হোসেন, বিএসএস’র প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমদাদুল হক ইমন ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুহেল আহমদসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ অপসারণে দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৩:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

সুনামগঞ্জের ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের অপসারণে দাবীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।
(গত ০৭ জানুয়ারী) শনিবার সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কলেজ শিক্ষার্থীদের দেওয়া কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৮ জানুয়ারী মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি। ৯ জানুয়ারী বিক্ষোভ মিছিল ও সর্বদলীয় ছাত্র ধর্মঘট এবং ১২ জানুয়ারী মানববন্ধন। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আলী আশরাফ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারী ক্লাস করার জন্য কলেজে প্রবেশ করে অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো: রেজা।
কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক ওই ছাত্রকে বলেন তোমার হাটাচলার ধরণ ভালা না। এ কথার জের ধরে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক কলেজের অন্যান্য শিক্ষকদের ডেকে আনেন এবং তাকে বেধড়ক মারপিঠ করে আহত করেন।
নির্যাতনের এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পর কলেজ গভর্ণিংবডি ও এলাকাবাসীকে তোয়াক্কা না করে পুলিশ ডেকে এনে নির্যাতিত কলেজ ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করেন অধ্যক্ষ।
ছাত্রকে নির্যাতনের প্রতিবাদে ও তার মুক্তি এবং অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের অপসারণের দাবীতে গোবিন্দগঞ্জে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করে শিক্ষার্থীরা। পরে আটককৃত ওই ছাত্রকে থানা থেকে মুক্তি দেয়া হলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা সাময়িক প্রত্যাহার করে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ৫০ বছর পূর্তি ও সূবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম সিরাজুল ইসলাম ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মহান মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম লুৎফুর রহমান সরকুমকে নিয়ে স্মৃতিচারণ না করে চরম ভাবে অবমাননা করা হয়েছে। কলেজের এ অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষার্থীরা প্রবাস থেকে বড় অংকের টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করেছে।
৫০ বছর পূর্তি ও সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক প্রায় ২ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন। ওই অধ্যক্ষ গোবিন্দগঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকে এলাকাবাসীকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কলেজের আয়-ব্যয় ও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৫০ বছর পূর্তি ও সূবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয় ব্যয়ের হিসেব দেন নাই।
কলেজ শিক্ষার্থী মো: রেজাকে নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়িত অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকসহ সকল শিক্ষকদের অপসারণের দাবী ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।
বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকসহ সংশ্লিষ্টদের সু-দৃষ্টি কামনা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কলেজের এইচ এসসি ফল প্রার্থী রবি হোসেন, বিএসএস’র প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমদাদুল হক ইমন ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুহেল আহমদসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।