ঢাকা ০২:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোদাগাড়ীতে পেঁয়াজের বীজ চাষে আব্দুল খালেকর সাফল্য

মোঃ রবিউল ইসলাম মিনাল, গোদাগাড়ী ( রাজশাহী ):
  • আপডেট সময় : ০৫:১৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে দেখতে কদম ফুলের মতো হলেও এটি কোন সাধারণ ফুল নয়। এটি পেঁয়াজের বীজের সাদা অংশ যা স্থানীয়দের কাছে থোকা বা পেঁয়াজের বীজ নামে পরিচিত। সাদা কদমের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কালো সোনা।
মেসার্স বন্ধু বীজ ভান্ডারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো:আব্দুল খালেক গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের দমদমা, আগলপুর, বড়সিপাড়া, মধুমাট এলাকায় প্রায় ১০ একর জমিতে পিয়াজ বীজ চাষ করছে। প্রতি বিঘায় খরচ আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা। ফলন নির্ভর করে সম্পূর্ণ আবহাওয়ার উপর এবং প্রাকৃতিক মৌমাছির উপস্থিতির উপর। ১ বিঘা প্রতি ফলন এক থেকে চার মন পর্যন্ত হয়ে থাকে। বর্তমানে বাজারে বেশি চাহিদা সম্পন্ন জাত তাহেরপুরি,কিং, হাইব্রিড এগুলোই চাষ করে আসছেন।
পিঁয়াজ বীজ চাষের জন্য প্রথমে পিয়াজ সংগ্রহ করতে হয় এবং জাত সম্বন্ধে ধারণা থাকতে হয়, কোন জাতের বীজ চাষ করবে সে জাতের পিয়াজ সংগ্রহ করতে হয়।
পিয়াজ বীজ চাষের জন্য নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পিয়াজ লাগানো হয় এবং মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের মধ্যে বীজ সংগ্রহ করতে হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে তা বিক্রয় করে থাকেন বাংলাদেশের পাবনা , ফরিদপুরে ,সবচেয়ে বেশী পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। এখানকার উৎপাদিত বীজগুলো বেশির ভাগেই পাবনা ফরিদপুরে বিক্রি হয়ে থাকে।

চাহিদার সম্পূর্ণ বীজ নিজে উৎপাদন করতে পারেনা বলে,এলাকার ভালো কৃষক/ চাষি দ্বারা বীজ উৎপাদন করিয়ে নেই এবং তা নিজে সংরক্ষণ করে। সেপ্টেম্বর অক্টোবর এবং নভেম্বর এই তিন মাস পিয়াজ বীজ বপনের উপযোগী সময় , আমাদের উৎপাদিত এ বীজগুলো এ সময়ে বিক্রি হয়ে থাকে।

১৯৯২ সাল থেকে মোঃ মাহবুব আলম বীজ ব্যবসার সাথে জড়িত। তখন থেকেই পেঁয়াজের বীজ চাষ করে আসছেন। এখন তার পেঁয়াজ বীজের সুনাম নিজ এলাকার বাইরেও ছাড়িয়ে গেছে।
এখন তার ছেলে মো:আব্দুল খালেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর, মেসার্স বন্ধু বীজ ভান্ডার । বাবার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং কৃষি ব্যবসার এবং কৃষি কাজে ভালো লাগা থেকে কাজ করে সেই থেকে সে এই ব্যবসার সাথে জড়িত। পাবনা ও ফরিদপুরে বীজের ভালো চাহিদা হওয়ার কারণে প্রতিবছর বীজ সাপ্লাই দেই। মেসার্স বন্ধু বীজ ভান্ডার এর নামে কোটা, প্যাকেটজাত করে সুনামের সাথে বিজ বিক্রয় করে থাকে।

ছোট থেকেই কৃষি কাজের উপর ব্যাপক উৎসাহ এবং ভালোলাগা কাজ করে,এবং বড় হয়ে কৃষি নিয়ে কিছু করার উদ্দেশ্যে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এ কৃষি নিয়ে পড়াশোনা করছে আব্দুল খালেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর, মেসার্স বন্ধু বীজ ভান্ডার ।

ভবিষ্যতে এ পেশাকে নিয়ে উন্নত কিছু পরিকল্পনা করছেন এবং এই ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে বর্তমানে এই মৌসুমে ভালো ফলন এবং লাভের আশা করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোদাগাড়ীতে পেঁয়াজের বীজ চাষে আব্দুল খালেকর সাফল্য

আপডেট সময় : ০৫:১৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে দেখতে কদম ফুলের মতো হলেও এটি কোন সাধারণ ফুল নয়। এটি পেঁয়াজের বীজের সাদা অংশ যা স্থানীয়দের কাছে থোকা বা পেঁয়াজের বীজ নামে পরিচিত। সাদা কদমের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কালো সোনা।
মেসার্স বন্ধু বীজ ভান্ডারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো:আব্দুল খালেক গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের দমদমা, আগলপুর, বড়সিপাড়া, মধুমাট এলাকায় প্রায় ১০ একর জমিতে পিয়াজ বীজ চাষ করছে। প্রতি বিঘায় খরচ আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা। ফলন নির্ভর করে সম্পূর্ণ আবহাওয়ার উপর এবং প্রাকৃতিক মৌমাছির উপস্থিতির উপর। ১ বিঘা প্রতি ফলন এক থেকে চার মন পর্যন্ত হয়ে থাকে। বর্তমানে বাজারে বেশি চাহিদা সম্পন্ন জাত তাহেরপুরি,কিং, হাইব্রিড এগুলোই চাষ করে আসছেন।
পিঁয়াজ বীজ চাষের জন্য প্রথমে পিয়াজ সংগ্রহ করতে হয় এবং জাত সম্বন্ধে ধারণা থাকতে হয়, কোন জাতের বীজ চাষ করবে সে জাতের পিয়াজ সংগ্রহ করতে হয়।
পিয়াজ বীজ চাষের জন্য নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পিয়াজ লাগানো হয় এবং মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের মধ্যে বীজ সংগ্রহ করতে হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে তা বিক্রয় করে থাকেন বাংলাদেশের পাবনা , ফরিদপুরে ,সবচেয়ে বেশী পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। এখানকার উৎপাদিত বীজগুলো বেশির ভাগেই পাবনা ফরিদপুরে বিক্রি হয়ে থাকে।

চাহিদার সম্পূর্ণ বীজ নিজে উৎপাদন করতে পারেনা বলে,এলাকার ভালো কৃষক/ চাষি দ্বারা বীজ উৎপাদন করিয়ে নেই এবং তা নিজে সংরক্ষণ করে। সেপ্টেম্বর অক্টোবর এবং নভেম্বর এই তিন মাস পিয়াজ বীজ বপনের উপযোগী সময় , আমাদের উৎপাদিত এ বীজগুলো এ সময়ে বিক্রি হয়ে থাকে।

১৯৯২ সাল থেকে মোঃ মাহবুব আলম বীজ ব্যবসার সাথে জড়িত। তখন থেকেই পেঁয়াজের বীজ চাষ করে আসছেন। এখন তার পেঁয়াজ বীজের সুনাম নিজ এলাকার বাইরেও ছাড়িয়ে গেছে।
এখন তার ছেলে মো:আব্দুল খালেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর, মেসার্স বন্ধু বীজ ভান্ডার । বাবার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং কৃষি ব্যবসার এবং কৃষি কাজে ভালো লাগা থেকে কাজ করে সেই থেকে সে এই ব্যবসার সাথে জড়িত। পাবনা ও ফরিদপুরে বীজের ভালো চাহিদা হওয়ার কারণে প্রতিবছর বীজ সাপ্লাই দেই। মেসার্স বন্ধু বীজ ভান্ডার এর নামে কোটা, প্যাকেটজাত করে সুনামের সাথে বিজ বিক্রয় করে থাকে।

ছোট থেকেই কৃষি কাজের উপর ব্যাপক উৎসাহ এবং ভালোলাগা কাজ করে,এবং বড় হয়ে কৃষি নিয়ে কিছু করার উদ্দেশ্যে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এ কৃষি নিয়ে পড়াশোনা করছে আব্দুল খালেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর, মেসার্স বন্ধু বীজ ভান্ডার ।

ভবিষ্যতে এ পেশাকে নিয়ে উন্নত কিছু পরিকল্পনা করছেন এবং এই ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে বর্তমানে এই মৌসুমে ভালো ফলন এবং লাভের আশা করছেন।