ঢাকা ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোদাগাড়ীতে ইউএনও’র পদক্ষেপে একদিনে দুইটি বাল্য বিবাহ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক//
  • আপডেট সময় : ০১:১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রশাসনের (ইউএনও’র) সক্রিয় ভূমিকার ফলে একদিনে দুইটি বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন ও পাকড়ি ইউনিয়নে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই বিবাহগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (UNO) ফয়সাল আহমেদ ও স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপে এগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পরই স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (UNO) ফয়সাল আহমেদ ও পুলিশ সদস্যরা বরের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে অভিভাবকদের বোঝান এবং বাল্য বিবাহের আইনগত পরিণতি সম্পর্কে সচেতন করেন। পরে দুই পরিবারই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিবাহ স্থগিত করে।

স্থানীয়রা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, বাল্য বিবাহ সমাজে একটি বড় সমস্যা, যা কিশোরীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেয়। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, “বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অভিভাবকদের সচেতন হওয়া জরুরি। যদি কেউ বাল্য বিবাহের আয়োজন করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রশাসনের এই কার্যকরী পদক্ষেপ গোদাগাড়ীতে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোদাগাড়ীতে ইউএনও’র পদক্ষেপে একদিনে দুইটি বাল্য বিবাহ বন্ধ

আপডেট সময় : ০১:১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রশাসনের (ইউএনও’র) সক্রিয় ভূমিকার ফলে একদিনে দুইটি বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন ও পাকড়ি ইউনিয়নে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই বিবাহগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (UNO) ফয়সাল আহমেদ ও স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপে এগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পরই স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (UNO) ফয়সাল আহমেদ ও পুলিশ সদস্যরা বরের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে অভিভাবকদের বোঝান এবং বাল্য বিবাহের আইনগত পরিণতি সম্পর্কে সচেতন করেন। পরে দুই পরিবারই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিবাহ স্থগিত করে।

স্থানীয়রা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, বাল্য বিবাহ সমাজে একটি বড় সমস্যা, যা কিশোরীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেয়। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, “বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অভিভাবকদের সচেতন হওয়া জরুরি। যদি কেউ বাল্য বিবাহের আয়োজন করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রশাসনের এই কার্যকরী পদক্ষেপ গোদাগাড়ীতে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।