ঢাকা ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের লড়াইয়ে স্বজনদের পাশে থাকবে বিএনপি’

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫ বার পড়া হয়েছে

গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের লড়াইয়ে স্বজনদের পাশে বিএনপি থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের মূল কনফারেন্স রুমে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে তোলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘জান ও জবান’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

গুম হওয়া স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এর উদ্যোগে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে ‘গুম: জান ও জবান’ এই অনুষ্ঠান হয়। সেখানে গুমের শিকার স্বজনরা উপস্থতি ছিলেন। সবার হাতে ছিলো তাদের প্রিয়জনদের আলোকচিত্র।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গুমের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশে যদি ভবিষ্যতে একটি গুমের ঘটনা হয়, একটি বিচারবর্হিভূত ঘটনা হয়, অবৈধ আটকাদেশের ঘটনা হয়….আমরা তাদের পাশে থাকব। এই প্রতিশ্রুতি আমরা দিচ্ছি। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা গুমের ঘটনার সঙ্গে দায়ী, যারা গুম করেছে, হত্যা করেছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করুন, তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করুন।

অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, আলোকচিত্রী মোশফিকুর রহমান জোহান বক্তব্য দেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি নিজেই গুম ছিলাম… কবর থেকে বেরিয়ে আসা একজন মানুষ। আমাদের দেশ থেকে চিরতরে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করার জন্য কাজ করতে হবে। আপনারা যারা এখনও স্বজনদের ফিরে পান নাই…. আপনারা তো জিন্দা লাশ। আমি এই অনুষ্ঠান থেকে বলছি সরকারকে সংশ্লিষ্ট সকলকে যারা গুমের সংস্কৃতির ধারক, বাহক, যারা গুম করেছে, হত্যা করেছে তারা কারা আপনারা জানেন, বাংলাদেশের জনগণ জানেন… এই জিয়াউল হাসান, বেনজীর, মনিরুল, ডিবি হারুণ, বিপ্লব, মেহেদী… যত আছে নো মার্সি, গো টু জাস্টিস। তাদেরকে ইন্টারোগেট করতে হবে… তারা মানুষকে গুম করেছে, হত্যা করেছে…. তাদের বিচার করতে হবে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা বসে আছে সমস্ত জায়গায়। এরা থাকলে আমরা কিভাবে বিচার পাবো?’

‘গুম জান ও জবান’ নামের এই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে।

সেখানে বিভিন্ন পরিবারের নানা গল্প ফুটে ওঠে আলোকচিত্রীর ছবিতে। একটি ছবিতে দেখা যায়, সিসিটিভি ফুটেজে মানুষ উঠিয়ে নেওয়ার দৃশ্য সাদা প্রাইভেটে। আরেক ছবিতে মেলে ভারাক্রান্ত চেহারায় অসুস্থ মায়ের অপেক্ষা ছেলের ছবি হাতে। কোনো ছবিতে দেখা যায় মা-ছেলে অপলক তাকিয়ে আছে জানালার দিকে। হয়তো অপেক্ষায় প্রিয় মানুষটি ফেরার।

মোশফিকুর রহমান জোহানের ক্যামেরার আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারীতে চলবে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সকালের অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর সিনিয়র গবেষক তাসকিন পারভীন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়াসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

‘গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের লড়াইয়ে স্বজনদের পাশে থাকবে বিএনপি’

আপডেট সময় : ১১:৩২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের লড়াইয়ে স্বজনদের পাশে বিএনপি থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের মূল কনফারেন্স রুমে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে তোলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘জান ও জবান’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

গুম হওয়া স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এর উদ্যোগে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে ‘গুম: জান ও জবান’ এই অনুষ্ঠান হয়। সেখানে গুমের শিকার স্বজনরা উপস্থতি ছিলেন। সবার হাতে ছিলো তাদের প্রিয়জনদের আলোকচিত্র।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গুমের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশে যদি ভবিষ্যতে একটি গুমের ঘটনা হয়, একটি বিচারবর্হিভূত ঘটনা হয়, অবৈধ আটকাদেশের ঘটনা হয়….আমরা তাদের পাশে থাকব। এই প্রতিশ্রুতি আমরা দিচ্ছি। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা গুমের ঘটনার সঙ্গে দায়ী, যারা গুম করেছে, হত্যা করেছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করুন, তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করুন।

অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, আলোকচিত্রী মোশফিকুর রহমান জোহান বক্তব্য দেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি নিজেই গুম ছিলাম… কবর থেকে বেরিয়ে আসা একজন মানুষ। আমাদের দেশ থেকে চিরতরে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করার জন্য কাজ করতে হবে। আপনারা যারা এখনও স্বজনদের ফিরে পান নাই…. আপনারা তো জিন্দা লাশ। আমি এই অনুষ্ঠান থেকে বলছি সরকারকে সংশ্লিষ্ট সকলকে যারা গুমের সংস্কৃতির ধারক, বাহক, যারা গুম করেছে, হত্যা করেছে তারা কারা আপনারা জানেন, বাংলাদেশের জনগণ জানেন… এই জিয়াউল হাসান, বেনজীর, মনিরুল, ডিবি হারুণ, বিপ্লব, মেহেদী… যত আছে নো মার্সি, গো টু জাস্টিস। তাদেরকে ইন্টারোগেট করতে হবে… তারা মানুষকে গুম করেছে, হত্যা করেছে…. তাদের বিচার করতে হবে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা বসে আছে সমস্ত জায়গায়। এরা থাকলে আমরা কিভাবে বিচার পাবো?’

‘গুম জান ও জবান’ নামের এই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে।

সেখানে বিভিন্ন পরিবারের নানা গল্প ফুটে ওঠে আলোকচিত্রীর ছবিতে। একটি ছবিতে দেখা যায়, সিসিটিভি ফুটেজে মানুষ উঠিয়ে নেওয়ার দৃশ্য সাদা প্রাইভেটে। আরেক ছবিতে মেলে ভারাক্রান্ত চেহারায় অসুস্থ মায়ের অপেক্ষা ছেলের ছবি হাতে। কোনো ছবিতে দেখা যায় মা-ছেলে অপলক তাকিয়ে আছে জানালার দিকে। হয়তো অপেক্ষায় প্রিয় মানুষটি ফেরার।

মোশফিকুর রহমান জোহানের ক্যামেরার আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারীতে চলবে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সকালের অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর সিনিয়র গবেষক তাসকিন পারভীন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়াসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।