ঢাকা ০৩:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুজব ছড়িয়ে স্বৈরাচারের দোসরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: নজরুল

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:২৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ ৭ বার পড়া হয়েছে

দেশে গুজব ছড়িয়ে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি এ অভিযোগ করেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ষড়যন্ত্রকারী থেমে নাই। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে বলেই মনে করবেন না, সব স্বৈরাচাররা, ফ্যাসিবাদের দোসরা পালিয়ে গেছে… না; আছে তারা। নানা রকম গুজব এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। আপনাদের হুঁশিয়ার এবং সাবধান থাকতে হবে। কোনো রকমের গুজবন ও বিভ্রান্তিতে যেন আমরা পা না দেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, ওদের (পতিত আওয়ামী লীগ) পক্ষে দেশে-বিদেশে শক্তি আছে, ওদের অনেক টাকা-পয়সা আছে… তারা নানাভাবে চেষ্টা করতে পারে আমাদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির… সেটা যেন করতে না পারে সে দিকে সজাগ থাকতে হবে। কারণ মনে রাখতে হবে শহীদ জেহাদ থেকে আরম্ভ করে এর আগের এবং পরের যারাই আমাদের ভাই-বোনেরা শহীদ ও গুম হয়েছেন তাদের রক্ত কিংবা তাদের স্মৃতির প্রতি আমাদের দায় আছে, এই দায় আমাদেরকে পরিশোদ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যারা বেঁচে আছি আমাদের দায়িত্ব হলো শহীদদের স্মৃতি মনে রাখা। যা তারা চেয়েছিলেন যার জন্য তারা জীবন দিয়েছেন সেটা অর্জন করা। আর সেই অর্জন করার পথে যে বাধা আসবে সেই বাধাকে আমাদের অতিক্রম করতে হবে। অতিক্রম করতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগনকে সাথে নিয়ে।

মনে রাখবেন, রাজনীতিতে জনগণের চাইতে বেশি শক্তিশালী আর কেউ নাই। আল্লাহর মেহেরবাণীতে সেই জনগণের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা আছে শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের। কাজেই আমাদের উচিত জনগনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা এবং তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করা।

১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর ছাত্রদল নেতা জেহাদ পুলিশের গুলিতে নিহত হলে আন্দোলন আরো তীব্র হয়। জেহাদের লাশ ছুঁয়ে তৎকালীন ছাত্রনেতারা শপথ নেন স্বৈরাচার এরশাদকে হঠানোর। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ডিসেম্বরে ক্ষমতা ছাড়েন এরশাদ।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রাজউক এভিনিউয়ের জেহাদ স্কয়ারে স্মৃতিস্তম্ভে বিএনপির পক্ষ থেকে আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, নাজিমউদ্দিন আলমসহ নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

নব্বইয়ের ডাকসুর ভিপি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় নব্বইয়ের সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে আসাদুজ্জামান রিপন, সালাহউদ্দিন আহমেদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, কামরুজ্জামান রতন, খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান আসাদ, মীর সরাফত আলী সপু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, ছাত্র দলের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিব ও শহীদ জেহাদের বড় বোন চামেলী মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গুজব ছড়িয়ে স্বৈরাচারের দোসরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: নজরুল

আপডেট সময় : ১১:২৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

দেশে গুজব ছড়িয়ে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি এ অভিযোগ করেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ষড়যন্ত্রকারী থেমে নাই। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে বলেই মনে করবেন না, সব স্বৈরাচাররা, ফ্যাসিবাদের দোসরা পালিয়ে গেছে… না; আছে তারা। নানা রকম গুজব এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। আপনাদের হুঁশিয়ার এবং সাবধান থাকতে হবে। কোনো রকমের গুজবন ও বিভ্রান্তিতে যেন আমরা পা না দেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, ওদের (পতিত আওয়ামী লীগ) পক্ষে দেশে-বিদেশে শক্তি আছে, ওদের অনেক টাকা-পয়সা আছে… তারা নানাভাবে চেষ্টা করতে পারে আমাদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির… সেটা যেন করতে না পারে সে দিকে সজাগ থাকতে হবে। কারণ মনে রাখতে হবে শহীদ জেহাদ থেকে আরম্ভ করে এর আগের এবং পরের যারাই আমাদের ভাই-বোনেরা শহীদ ও গুম হয়েছেন তাদের রক্ত কিংবা তাদের স্মৃতির প্রতি আমাদের দায় আছে, এই দায় আমাদেরকে পরিশোদ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যারা বেঁচে আছি আমাদের দায়িত্ব হলো শহীদদের স্মৃতি মনে রাখা। যা তারা চেয়েছিলেন যার জন্য তারা জীবন দিয়েছেন সেটা অর্জন করা। আর সেই অর্জন করার পথে যে বাধা আসবে সেই বাধাকে আমাদের অতিক্রম করতে হবে। অতিক্রম করতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগনকে সাথে নিয়ে।

মনে রাখবেন, রাজনীতিতে জনগণের চাইতে বেশি শক্তিশালী আর কেউ নাই। আল্লাহর মেহেরবাণীতে সেই জনগণের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা আছে শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের। কাজেই আমাদের উচিত জনগনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা এবং তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করা।

১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর ছাত্রদল নেতা জেহাদ পুলিশের গুলিতে নিহত হলে আন্দোলন আরো তীব্র হয়। জেহাদের লাশ ছুঁয়ে তৎকালীন ছাত্রনেতারা শপথ নেন স্বৈরাচার এরশাদকে হঠানোর। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ডিসেম্বরে ক্ষমতা ছাড়েন এরশাদ।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রাজউক এভিনিউয়ের জেহাদ স্কয়ারে স্মৃতিস্তম্ভে বিএনপির পক্ষ থেকে আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, নাজিমউদ্দিন আলমসহ নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

নব্বইয়ের ডাকসুর ভিপি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় নব্বইয়ের সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে আসাদুজ্জামান রিপন, সালাহউদ্দিন আহমেদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, কামরুজ্জামান রতন, খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান আসাদ, মীর সরাফত আলী সপু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, ছাত্র দলের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিব ও শহীদ জেহাদের বড় বোন চামেলী মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।