ঢাকা ১১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বকেয়া বেতনের দাবিতে

গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক//
  • আপডেট সময় : ০১:১০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪ ১০ বার পড়া হয়েছে

বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকায় টি অ্যান্ড জেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন ওই পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে, মহাসড়ক অবরোধ করায় ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইলের দিকে এবং ঢাকার দিকে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

শ্রমিকরা জানান, টি অ্যান্ড জেড গ্রুপের ছয়টি কারখানার সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেতন বকেয়া আছে। এ নিয়ে শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরেই তাদের বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ তা পরিশোধ করেননি। পরে গত মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কারখানার সামনে জড়ো হতে থাকে।

এক পর্যায়ে তারা মালিকের বাড়ি কলম্বিয়া মোড় এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

কারখানা শ্রমিক রবিউল হাসান বলেন, ‘গত দুই মাস ধরে বেতন দিয়ে দিচ্ছি বললেও এখন পর্যন্ত বেতন ভাতা পাইনি। যে কারণে বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হয়েছে।’

নাজমা আক্তার নামের আরেক শ্রমিক বলেন, ‘গত এপ্রিল মাস থেকে কারখানা বন্ধ ছিল। সেপ্টেম্বরে কারখানা খুলল। এখন দুই মাসের বেতন না দিয়ে কর্তৃপক্ষ তালবাহানা করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বারবার বেতন পরিষদের তারিখ দিলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে সড়ক অবরোধ করতে হয়েছে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত প্রায় এক মাস ধরে এই কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়টি সুরাহা করছে না। অবরোধের ফলে এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী এবং পরিবহন চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।’

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, ‘কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বেতন সংক্রান্ত সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বকেয়া বেতনের দাবিতে

গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০১:১০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকায় টি অ্যান্ড জেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন ওই পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে, মহাসড়ক অবরোধ করায় ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইলের দিকে এবং ঢাকার দিকে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

শ্রমিকরা জানান, টি অ্যান্ড জেড গ্রুপের ছয়টি কারখানার সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেতন বকেয়া আছে। এ নিয়ে শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরেই তাদের বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ তা পরিশোধ করেননি। পরে গত মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কারখানার সামনে জড়ো হতে থাকে।

এক পর্যায়ে তারা মালিকের বাড়ি কলম্বিয়া মোড় এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

কারখানা শ্রমিক রবিউল হাসান বলেন, ‘গত দুই মাস ধরে বেতন দিয়ে দিচ্ছি বললেও এখন পর্যন্ত বেতন ভাতা পাইনি। যে কারণে বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হয়েছে।’

নাজমা আক্তার নামের আরেক শ্রমিক বলেন, ‘গত এপ্রিল মাস থেকে কারখানা বন্ধ ছিল। সেপ্টেম্বরে কারখানা খুলল। এখন দুই মাসের বেতন না দিয়ে কর্তৃপক্ষ তালবাহানা করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বারবার বেতন পরিষদের তারিখ দিলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে সড়ক অবরোধ করতে হয়েছে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত প্রায় এক মাস ধরে এই কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়টি সুরাহা করছে না। অবরোধের ফলে এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী এবং পরিবহন চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।’

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, ‘কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বেতন সংক্রান্ত সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’