গাজার হাসপাতালে নেই পানি ও অক্সিজেন, রোগীরা তৃষ্ণায় কাতর
- আপডেট সময় : ০৮:১৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১২১ বার পড়া হয়েছে
গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফায় পানি ও অক্সিজেন নেই। পানি না থাকায় হাসপাতালের রোগীরা তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়েছেন। ইসরায়েলি অবরোধ ও সেনা অভিযানের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতালের ভেতরে আটকেপড়া একজন সাংবাদিক বিবিসি-এর রুশদি আবু আলৌফকে ফোনে জানিয়েছেন যে ‘ইসরায়েলি সৈন্যদের সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে এবং তারা সব দিক থেকে গুলি করছে’।
ওদিকে আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন সেখানে এখন পানি ও অক্সিজেন নেই এবং রোগীরা তৃষ্ণায় চিৎকার করছে।
হাসপাতালটির পরিচালক জানান, ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালটির প্রধান পানির সংযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
ইসরায়েলি ট্যাংক হাসপাতালটি ঘিরে আছে আর ওপরে ঘুরছে ড্রোন। হাসপাতালের ভেতরে দ্বিতীয় দিনের মতো তল্লাশি চালিয়েছে সৈন্যরা।
হাসপাতালটির পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া জানিয়েছেন, আল শিফার অবস্থা ‘ভয়াবহ’, যেখানে এখনও সাড়ে ছয় শ’ রোগী, পাঁচ শ’ চিকিৎসা কর্মকর্তা এবং পাঁচ হাজার বাস্তুচ্যূত মানুষ অবস্থান করছে।
তিনি বলেন, অভিযান চলছে। কেউ এক ভবন থেকে আরেক ভবনে যেতে পারছে না। আমরা আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, পুরো মেডিকেল কমপ্লেক্সটির দক্ষিণ দিকের প্রবেশপথের একটি অংশ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
অপরদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে তাদের সৈন্যরা গাজায় এক জিম্মির মৃতদেহ পেয়েছে। ৬৫ বছর বয়সী ইয়েহুডিত ওয়েইসকে গত ৭ অক্টোবর অপহরণ করে নিয়ে এসেছিল সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা।
বিবিসি জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। গত কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্থল হামলা জোরদার হওয়ার পর থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে সংঘাতের তীব্রতা বেড়েছে।
উত্তর গাজার শহর গাজা সিটির হাসপাতালগুলোর আশেপাশে সংঘাতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে থাকা লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
ওদিকে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েল গাজা শহরে ২৫ হাজার লিটার তেল সরবরাহ করার জন্য রাফাহ অতিক্রম করার অনুমতি দিয়েছে।
এর বাইরে গত ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের হামলার সময় যাদের জিম্মি করা হয়েছে তাদের কয়েকজনকে মুক্তির জন্য হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে কাতার মধ্যস্থতা করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র : বিবিসি