এখন দেশের মানুষের মতামতের কোনো দাম নেই: জি এম কাদের
- আপডেট সময় : ১১:৪২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১০৬ বার পড়া হয়েছে
দেশের মানুষের মতামতের এখন কোনো দাম নেই মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, দেশে খুব সফলভাবে বিরাজনীতিকরণ চলছে। তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকার বা বেসামরিক সরকারের হাতে বিরাজনীতিকরণ হচ্ছে। সামরিক সরকার এলেই আগে রাজনীতিবিদরা বলতেন, সামরিক সরকার বিরাজনীতিকরণ করণের মাধ্যমে রাজনীতি নষ্ট করা হচ্ছে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়েবুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক কাজী মো. ফারুক (সেন্টু) এবং আবরার শিশির জাতীয় পার্টিতে যোগদানের সময় জি এম কাদের এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দেশ হচ্ছে প্রজাতন্ত্র। প্রজারাই দেশের মালিক। তারা যাকে খুশি তাকে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। প্রতিনিধিদের কাজ পছন্দ না হলে নির্বাচনের মাধ্যমে আবার প্রতিনিধি বদল করতে পারবেন তারা। এটাই প্রকৃত গণতন্ত্র। কিন্তু এখন দেশের শাসনকার্যে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে। দেশের মানুষের মতামতের কোনো দাম নেই। এখন জনগণের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছে না। নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে।
জি এম কাদের আরও বলেন, সঠিকভাবে নির্বাচন না হলে মানুষ দেশের শাসনব্যবস্থা থেকে দূরে চলে যায়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। জনসাধারণ যেন কথা বলতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন আইন করা হয়েছে। তাই, এখন সাধারণ জনগণ প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারছেন না, আবার জনগণ কথাও বলতে পারছে না। এখন রাজনীতি থেকে জনসাধারণ দূরে চলে গেছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতিতে শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এই শুন্যতা কোনো না কোনোভাবে পূরণ হবে। তাই, দেশের রাজনীতিতে এক ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। আগে যেমন নির্বাচনের আগে ফলাফল অনুমান করা যেতো, এখন সেটা সম্ভব নয়। বিরাজনীতিকরণের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। আমরা বিশ্বাস করি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যারা বাধা দেবে তারা ধুলিসাৎ হয়ে যাবে। আমরা দুর্নীতি, দুঃশাসন অপরাজনীতি থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে চাই। আমরা বৈষম্য দূর করতে চাই। আমরা আইনের শাসন কায়েম করতে চাই।
যোগদান অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ প্রমুখ।