একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা: জামায়াত

- আপডেট সময় : ১১:৫২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে
লন্ডনে গতকাল শুক্রবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে দলটি।
শনিবার (১৪ জুন) এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানায় জামায়াতে ইসলামী। তবে বিবৃতিতে কোথাও বিএনপির নাম উল্লেখ করেনি জামায়াত।
এর আগে দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী বলেছে, ‘তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বিগত ৬ জুন জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। তার এই ঘোষণার পর লন্ডনে সফরকালে একটি রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক শেষে বিদেশে যৌথ ব্রিফিং এবং বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যত্যয় বলে আমরা মনে করি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এর মাধ্যমে তিনি একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন, যা তার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ করেছে। আমরা মনে করি দেশে ফিরে এসে প্রধান উপদেষ্টা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে তার অভিমত প্রকাশ করাই সমীচীন ছিল।’
শিগগিরই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে ইসি, আশা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার
বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী আরও বলেছে, ‘একটি দলের সাথে বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি দেওয়ার কারণে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার বিষয়ে জনগণের মধ্যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।’
এছাড়া দেশে ‘অনেকগুলো রাজনৈতিক দল থাকার পরও একটি মাত্র রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপ করে দেশের সামগ্রিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের’ সমালোচনা করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
শুক্রবার (১৩ জুন) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ডরচেস্টার হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল নয়টা ১০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বহুল আলোচিত ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি ও যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হয়, সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা গেলে, ২০২৬ সালের রমজানের আগেই অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।