ইসির সঙ্গে আলোচনা-মতবিনিময় অর্থহীন: মির্জা ফখরুল
- আপডেট সময় : ১০:০২:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩ ৯৩ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত আলোচনা ও মতবিনিময়ে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের কোনো সম্ভাবনা দেখছে না বিএনপি। তাই নির্বাচন কমিশনের এই প্রস্তাব গ্রহণ করছে না দলটি। তবে পত্র প্রেরণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনীতি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা জানান।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
ওই সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল কর্তৃক মহাসচিবকে প্রেরিত পত্রটির বিষয়ে আলোচনা হয়। যেখানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে আনুষ্ঠানিক না হলেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও মতবিনিময়ের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।সভায় সিদ্ধান্ত জানিয়ে ফখরুল বলেন, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে জন-জীবন সীমাহীন দূর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। অথচ অবৈধ সরকারের মন্ত্রী এবং শাসক দলের নেতৃবৃন্দের ‘জিনিসপত্রের দাম জনগণের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে এবং এত মানুষ লাইন দিয়ে ইফতার সামগ্রী কিনছেন প্রমাণ করে যে, তাদের আয় বেড়েছে’- উক্তি জনগণের সঙ্গে নিকৃষ্ট ধরনের মশকরা ছাড়া আর কিছু নয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো বারবার সরকারকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানালেও সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন। সরকারি দলের ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেট ও এক শ্রেণীর কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণেই দ্রব্যমূল্য কমানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এই জনবিচ্ছিন্ন সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
lবিএনপি ইতোমধ্যে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সভায় আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে গৃহীত মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী যথাযথভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল শাখাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সভায় গত ২২ মার্চ বাংলাদেশ সরকারের ভূমি দফতরে কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে র্যাব কর্তৃক ‘বেআইনিভাবে’ তুলে নেওয়া এবং নির্যাতনের ফলে তার মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভা মনে করে, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে একজন মহিলাকে কোনো সুনির্দিষ্ট মামলা ব্যতিরেকে তুলে নেওয়া এবং ফলশ্রুতিতে মৃত্যু আবারও প্রমাণ করেছে এই সরকারের অধীনে কর্মরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যথেচ্ছভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেই চলেছে।
হাইকোর্ট ইতোমধ্যে বিষয়টি আমলে নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে সকল তথ্য উপস্থাপন করতে নির্দেশ দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমগুলো ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। এ কথা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত যে, সুলতানা জেসমিন র্যাব কাস্টডিতে মারা গেছে যা, চরমভাবে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক অধিকার সংস্থাগুলো এ বিষয়ে অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে। সবাই অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য জনসম্মুখে উপস্থাপনের দাবি জানাচ্ছে এবং সুলতানা জেসমিনকে হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে।