ঢাকা ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন, বাংলাদেশের নির্বাচন, হোয়াইট হাউস প্রসঙ্গ

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১০:২০:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১৫ বার পড়া হয়েছে

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ভারত ও চীন বাংলাদেশের সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়ে আসছে বলে ‘ইন্ডিয়া টুডে’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয় বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে খালেদা জিয়ার পাশে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে। আর এই প্রতিবেদনটির বরাত দিয়েই এক সাংবাদিক হোয়াইট হাউসে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন প্রশ্ন রাখেন।

এ সময় ওই সংবাদ সম্মেলনে ইন্ডিয়া টুডের প্রকাশিত রিপোর্টের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সাংবাদিক জানতে চান বাংলাদেশে জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে দেশটির অবস্থান জানতে চান। ইন্ডিয়া টুডে ডিজিটাল রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে এক সাংবাদিক তার প্রশ্নে জিজ্ঞাসা করেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে একদিকে ভারত, চীন, রাশিয়া এবং অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কোনো ভিন্ন স্বার্থের কথা তুলে ধরছে কী না?

তিনি বলেন, ইন্ডিয়া টুডে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নির্বাচন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে ভারত ও চীন এক শিবিরে অবস্থান করছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রকে খালেদা জিয়ার পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে।

৬ই ডিসেম্বর প্রেস ব্রিফিংকালে জন কিরবির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- ভারত, চীন ও রাশিয়া যখন বাংলাদেশের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর সমর্থনে তাদের অবস্থান জানিয়েছে , সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কি, যেহেতু তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছে? জবাবে জন কিরবি বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমাদের অবস্থান অব্যাহতভাবে একই থাকবে। বিদেশের কোনো নির্বাচনে আমাদের কোনো পক্ষ থাকে না। বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমাদের সমর্থন জানাতে যা যা আমরা করতে পারি অব্যাহতভাবে তেমনটাই করবে যুক্তরাষ্ট্র।

ইন্ডিয়া টুডে লিখেছে, বাংলাদেশের জন্য জানুয়ারির এই নির্বাচনকে গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। আর এই নির্বাচনের ফল ভারতের জন্যও ব্যাপক প্রভাবের জায়গা তৈরি করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ভাষ্যমতে তারা উভয় দেশই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশের সমর্থন করে। কিন্তু বিশ্বের এই দুটি বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ দৃশ্যত বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে বিপরীত শিবিরের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানিয়ে আসছে নয়া দিল্লি। অন্যদিকে ওয়াশিংটনের ঘোষণা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে যে বা যিনি বা যারা বাধাগ্রস্ত করবেন তাদের সকলের বিরুদ্ধেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে যখন উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে ঢাকার ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। অন্যদিকে বাংলাদেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও জামায়াতের সরকারে ফেরা নিয়ে উদ্বেগজনক অবস্থানে রয়েছে ভারত।

ভারতের উদ্বেগ এখন বাংলাদেশের আসন্ন আগামী ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনের দিকে সবার চোখ। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে ভারত, চীন রাশিয়া, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে।

সকলের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের দিকে কারণ ভারত, চীন, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে তাদের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানের মনোভাব প্রকাশ করে আসছে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন, বাংলাদেশের নির্বাচন, হোয়াইট হাউস প্রসঙ্গ

আপডেট সময় : ১০:২০:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ভারত ও চীন বাংলাদেশের সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়ে আসছে বলে ‘ইন্ডিয়া টুডে’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয় বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে খালেদা জিয়ার পাশে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে। আর এই প্রতিবেদনটির বরাত দিয়েই এক সাংবাদিক হোয়াইট হাউসে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন প্রশ্ন রাখেন।

এ সময় ওই সংবাদ সম্মেলনে ইন্ডিয়া টুডের প্রকাশিত রিপোর্টের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সাংবাদিক জানতে চান বাংলাদেশে জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে দেশটির অবস্থান জানতে চান। ইন্ডিয়া টুডে ডিজিটাল রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে এক সাংবাদিক তার প্রশ্নে জিজ্ঞাসা করেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে একদিকে ভারত, চীন, রাশিয়া এবং অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কোনো ভিন্ন স্বার্থের কথা তুলে ধরছে কী না?

তিনি বলেন, ইন্ডিয়া টুডে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নির্বাচন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে ভারত ও চীন এক শিবিরে অবস্থান করছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রকে খালেদা জিয়ার পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে।

৬ই ডিসেম্বর প্রেস ব্রিফিংকালে জন কিরবির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- ভারত, চীন ও রাশিয়া যখন বাংলাদেশের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর সমর্থনে তাদের অবস্থান জানিয়েছে , সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কি, যেহেতু তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছে? জবাবে জন কিরবি বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমাদের অবস্থান অব্যাহতভাবে একই থাকবে। বিদেশের কোনো নির্বাচনে আমাদের কোনো পক্ষ থাকে না। বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমাদের সমর্থন জানাতে যা যা আমরা করতে পারি অব্যাহতভাবে তেমনটাই করবে যুক্তরাষ্ট্র।

ইন্ডিয়া টুডে লিখেছে, বাংলাদেশের জন্য জানুয়ারির এই নির্বাচনকে গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। আর এই নির্বাচনের ফল ভারতের জন্যও ব্যাপক প্রভাবের জায়গা তৈরি করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ভাষ্যমতে তারা উভয় দেশই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশের সমর্থন করে। কিন্তু বিশ্বের এই দুটি বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ দৃশ্যত বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে বিপরীত শিবিরের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানিয়ে আসছে নয়া দিল্লি। অন্যদিকে ওয়াশিংটনের ঘোষণা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে যে বা যিনি বা যারা বাধাগ্রস্ত করবেন তাদের সকলের বিরুদ্ধেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে যখন উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে ঢাকার ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। অন্যদিকে বাংলাদেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও জামায়াতের সরকারে ফেরা নিয়ে উদ্বেগজনক অবস্থানে রয়েছে ভারত।

ভারতের উদ্বেগ এখন বাংলাদেশের আসন্ন আগামী ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনের দিকে সবার চোখ। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে ভারত, চীন রাশিয়া, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে।

সকলের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের দিকে কারণ ভারত, চীন, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে তাদের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানের মনোভাব প্রকাশ করে আসছে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে