ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুই বিভাগের পুলিশ কমিশনারসহ ৫ এসপিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দুর্নীতিবিরোধী সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণ, যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ পেঁয়াজের বাজার অস্তির, রাতে ৮০ সকালে ১৬০ টাকা জাপা মহাসচিবের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নৌকার প্রার্থীর আবেদন ‘আগামীতে রক্তপাত, গৃহযুদ্ধ হলে দায় আওয়ামী লীগের’ ১০ ডিসেম্বর কোথায় মানববন্ধন করবে, জানাল বিএনপি অযৌক্তিক রাজনৈতিক চাপের অভিযোগ তুলে জাতিসংঘকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি আপিলকারীরা শতভাগ ন্যায়বিচার পাবেন: ইসি ত্রিশালকে একটি মডেল এলাকা হিসাবে গড়ে তুলবো – স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছ যারা আগুন দিতে যাবে তাদের পুলিশে দিন: প্রধানমন্ত্রী

ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি ১.৬ ট্রিলিয়ন: গবেষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০২:০৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ৪৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত বছর ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে ১.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। জার্মান ইন্সটিটিউট অফ ইকোনমিক্স এমন তথ্য দিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে যে তাদের একটি গবেষণায় এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

ওই গবেষণার সমীক্ষা অনুসারে, ২০২৩ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ক্ষতির পরিমাণ আরও এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার বেশি হতে পারে।

ওই জার্মান ইনস্টিটিউটের গবেষণা মডেলে দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ওপর ভিত্তি করে এমন গণনা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য এতে ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। সংস্থাটির দ্বারা বৈশ্বিক অর্থনীতির পতনের পূর্বাভাস গণনা ও সংশ্লিষ্ট অনুমান ওই গবেষণায় কাজে লাগানো হয়েছে।

এ কারণে ওই গবেষণায় ২০২২ সালের জিডিপির প্রকৃত উন্নয়ন এবং ২০২৩-এর অর্থনৈতিক পূর্বাভাসকে ২০২১-এর শেষে ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াই প্রকৃত প্রত্যাশিত উন্নয়নের সঙ্গে তুলনা করা হয়।

জার্মান ইন্সটিটিউট অফ ইকোনমিক্স তাদের সমীক্ষায় জানিয়েছে, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ও উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। উপরন্তু, বিদ্যুতের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি বিশ্বের সর্বত্র তীব্রভাবে বেড়েছে এবং ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করেছে।’

এ গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘অনিশ্চিত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং মূলধনী পণ্যের ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে। এ কারণে ক্রমবর্ধমানভাবে অর্থায়নের ব্যয়ও বেড়েছে। এ কারণে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কোম্পানি বিনিয়োগে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে।’

তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা আশা করছেন যে ২০২২ সালের তুলনায় এবার সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক ক্ষতি কিছুটা কম হবে। এর কারণ হলো, বৈশ্বিক কাঁচামাল এবং শক্তির বাজারে পণ্যের সহজলভ্যতা।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি ১.৬ ট্রিলিয়ন: গবেষণা

আপডেট সময় : ০২:০৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

গত বছর ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে ১.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। জার্মান ইন্সটিটিউট অফ ইকোনমিক্স এমন তথ্য দিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে যে তাদের একটি গবেষণায় এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

ওই গবেষণার সমীক্ষা অনুসারে, ২০২৩ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ক্ষতির পরিমাণ আরও এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার বেশি হতে পারে।

ওই জার্মান ইনস্টিটিউটের গবেষণা মডেলে দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ওপর ভিত্তি করে এমন গণনা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য এতে ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। সংস্থাটির দ্বারা বৈশ্বিক অর্থনীতির পতনের পূর্বাভাস গণনা ও সংশ্লিষ্ট অনুমান ওই গবেষণায় কাজে লাগানো হয়েছে।

এ কারণে ওই গবেষণায় ২০২২ সালের জিডিপির প্রকৃত উন্নয়ন এবং ২০২৩-এর অর্থনৈতিক পূর্বাভাসকে ২০২১-এর শেষে ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াই প্রকৃত প্রত্যাশিত উন্নয়নের সঙ্গে তুলনা করা হয়।

জার্মান ইন্সটিটিউট অফ ইকোনমিক্স তাদের সমীক্ষায় জানিয়েছে, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ও উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। উপরন্তু, বিদ্যুতের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি বিশ্বের সর্বত্র তীব্রভাবে বেড়েছে এবং ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করেছে।’

এ গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘অনিশ্চিত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং মূলধনী পণ্যের ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে। এ কারণে ক্রমবর্ধমানভাবে অর্থায়নের ব্যয়ও বেড়েছে। এ কারণে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কোম্পানি বিনিয়োগে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে।’

তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা আশা করছেন যে ২০২২ সালের তুলনায় এবার সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক ক্ষতি কিছুটা কম হবে। এর কারণ হলো, বৈশ্বিক কাঁচামাল এবং শক্তির বাজারে পণ্যের সহজলভ্যতা।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি