ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগের সেকেন্ড নেতা জিয়াউর রহমান: গয়েশ্বর

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে

জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের স্যালুট জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশ গঠন করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যার যেটুকু করা উচিত, সেটুকু করলে দেশের মানুষ খুশি হবে। দেশের জনগণ নির্বাচন চায়, বিএনপিও নির্বাচন চায়। কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত শান্তি বয়ে আনে না।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সব নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বাকশালী আওয়ামী লীগকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেন। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের সেকেন্ড নেতা। প্রথম নেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

রোববার (০৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সর্বস্তরের মানুষ দেশ স্বাধীন করল আর সরকার গঠন করল আওয়ামী লীগ। বাহাত্তরে তারা যে সংবিধান লিখেছে, তারা কি সেই সংবিধান মেনে চলেছে? চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ব্যাংক ডাকাতি, নারী নির্যাতন- এসব কি সংবিধানে লেখা ছিল?

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, বাহাত্তরের সংবিধান আওয়ামী লীগ লঙ্ঘন করেছে। তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। যুগে যুগে আওয়ামী লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল আর নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় নিরঙ্কুশ করার ফলাফল কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না। যাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করব, তারা নিজেরাই নিজেদের নিষিদ্ধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

গয়েশ্বর বলেন, শেখ হাসিনা এতদিন আইন মানেনি। এখন আইনকে ভয় পাচ্ছে। ভয় না পেলে দেশ ছেড়ে পালাত না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আ.লীগের সেকেন্ড নেতা জিয়াউর রহমান: গয়েশ্বর

আপডেট সময় : ১১:২৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের স্যালুট জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশ গঠন করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যার যেটুকু করা উচিত, সেটুকু করলে দেশের মানুষ খুশি হবে। দেশের জনগণ নির্বাচন চায়, বিএনপিও নির্বাচন চায়। কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত শান্তি বয়ে আনে না।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সব নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বাকশালী আওয়ামী লীগকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেন। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের সেকেন্ড নেতা। প্রথম নেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

রোববার (০৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সর্বস্তরের মানুষ দেশ স্বাধীন করল আর সরকার গঠন করল আওয়ামী লীগ। বাহাত্তরে তারা যে সংবিধান লিখেছে, তারা কি সেই সংবিধান মেনে চলেছে? চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ব্যাংক ডাকাতি, নারী নির্যাতন- এসব কি সংবিধানে লেখা ছিল?

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, বাহাত্তরের সংবিধান আওয়ামী লীগ লঙ্ঘন করেছে। তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। যুগে যুগে আওয়ামী লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল আর নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় নিরঙ্কুশ করার ফলাফল কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না। যাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করব, তারা নিজেরাই নিজেদের নিষিদ্ধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

গয়েশ্বর বলেন, শেখ হাসিনা এতদিন আইন মানেনি। এখন আইনকে ভয় পাচ্ছে। ভয় না পেলে দেশ ছেড়ে পালাত না।