ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের অনন্য অবদান রয়েছে : শরীফ উদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে হঠাৎ করেই চালের বাজার অস্থির, কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৮ টাকা দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে আরও ২১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে মনোযোগ দেওয়ার নির্দেশ এনবিআর চেয়ারম্যানের পুরো সংসদীয় আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা চায় ইসি একযোগে ১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে ৪৪৪ জনকে আটক সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশ বাস্তবায়নে ডিএমপির সহযোগিতা চেয়েছে জামায়াত নির্বাচনের প্রস্তুতির নির্দেশ, প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ ফখরুলের

আবারও রাজশাহীর নগর পিতা খায়রুজ্জামান লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক//
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩ ১৪২ বার পড়া হয়েছে

বিপুল ভোটের ব্যবধানে আবারো রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিসাবে এবার স্থান করে নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী।
আজ বুধবার (২১ জুন) দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ১৫৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন রাসিকের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
১৫৫টি কেন্দ্রের পাওয়া ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতিকে পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৯৩টি ভোট। জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার গোলাপ ফুল প্রতিকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৫৮৪ ভোট ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন লাঙ্গল প্রতিকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৪৫৬ ভোট। তবে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলেন তারা ৪ টার পরও ভোট দিতে পারছেন। ভোট গ্রহণ শেষে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
এবারই প্রথম রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হলো। এর মধ্যে বাগড়া বাধিয়েছিল বৃষ্টি। সেই সঙ্গে ছিল ইভিএম জটিলতাও। তবে নির্বাচনের শুরু থেকে নানান রকমের আশঙ্কা করা হলেও দিনভর দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবার। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হলো রাসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।
এদিকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মোট চারজন প্রার্থী ছিলেন। তবে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাকি তিনজনের মধ্যে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙল) ও জাকের পার্টি মনোনীত লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল) মাঠে সক্রিয় ছিলেন না।
এবার রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে ১১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার ৬ জন।
উল্লেখ্য, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ১৯৯৬ সালে সপ্তম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (পবা-বোয়ালিয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। ২০০৮ সালে তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে ২০১৩ সালের ৯ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট আবারও মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। এছাড়া ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আবারও রাজশাহীর নগর পিতা খায়রুজ্জামান লিটন

আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

বিপুল ভোটের ব্যবধানে আবারো রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিসাবে এবার স্থান করে নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী।
আজ বুধবার (২১ জুন) দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ১৫৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন রাসিকের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
১৫৫টি কেন্দ্রের পাওয়া ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতিকে পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৯৩টি ভোট। জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার গোলাপ ফুল প্রতিকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৫৮৪ ভোট ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন লাঙ্গল প্রতিকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৪৫৬ ভোট। তবে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলেন তারা ৪ টার পরও ভোট দিতে পারছেন। ভোট গ্রহণ শেষে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
এবারই প্রথম রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হলো। এর মধ্যে বাগড়া বাধিয়েছিল বৃষ্টি। সেই সঙ্গে ছিল ইভিএম জটিলতাও। তবে নির্বাচনের শুরু থেকে নানান রকমের আশঙ্কা করা হলেও দিনভর দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবার। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হলো রাসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।
এদিকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মোট চারজন প্রার্থী ছিলেন। তবে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাকি তিনজনের মধ্যে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙল) ও জাকের পার্টি মনোনীত লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল) মাঠে সক্রিয় ছিলেন না।
এবার রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে ১১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার ৬ জন।
উল্লেখ্য, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ১৯৯৬ সালে সপ্তম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (পবা-বোয়ালিয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। ২০০৮ সালে তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে ২০১৩ সালের ৯ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট আবারও মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। এছাড়া ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হন তিনি।