ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ ঋতুরাজ বসন্ত

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ৯৯ বার পড়া হয়েছে

আজ পয়লা ফাল্গুন। শীতের রিক্ততা ভুলে প্রকৃতিতে বইছে ফাগুনী হাওয়া। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায়, ‘ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত’। ষড়ঋতুর পরিক্রমায় প্রকৃতিতে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। সেই ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন আজ। কোকিলের মধুর কুহু ডাক, রঙিন ফুলের আগুনে রূপ মনে দোলা দিয়ে যায়। গাছে গাছে ছড়িয়ে রয়েছে আমের মুকুল। অলৌকিক স্পর্শে জেগে উঠেছে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, নাগলিঙ্গমসহ কতশত ফুল।

মধুকর ব্যস্ত মধুপানে। সত্যি সত্যি বসন্ত ঋতুরাজ। এই দিনে অসংখ্য রমণী বাসন্তী রঙে নিজেদের রাঙিয়ে রাজপথ, পার্ক, বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরসহ দেশজুড়ে মুখর থাকবেন প্রিয় মানুষের সঙ্গে। কারও আজ হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা।

অমর একুশে গ্রন্থমেলায়ও এর দোলা লাগবে। আজ মেলায় থাকবে বাসন্তী রঙের উৎসব। তরুণীরা এ রংয়ের পোশাক আর গাঁদা ফুলে নিজেদের সাজিয়ে মেলায় আসবেন। তরুণরা পরবেন বাসন্তী রংয়ের পাঞ্জাবি-ফতুয়া। আর ফাগুনের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ আগামীকাল বৃহস্পতিবার মেলায় থাকবে ভালোবাসার পরশ। কারণ, দিনটি ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’, ভালোবাসার দিন। প্রেমিকযুগল হাতে হাত ধরে ঘোরাঘুরি করবেন। কেউবা যাবেন পার্কে, অনেকে আসবেন প্রিয় বইমেলায়। মনের মানুষটিকে লাল গোলাপের সঙ্গে উপহার দেবেন প্রিয় লেখকের বই। এদিন মেলা রাঙাবে লাল রংয়ে। দুদিনই মেলায় থাকবে উৎসবের আমেজ। স্বভাবতই ফাল্গুনী হাওয়া দোলা দিয়ে যাবে প্রকাশকদের মনেও।

তবে ফাগুন এলে চওড়া হাসি দেখা যায় ফুলচাষি ও বিক্রেতাদের মুখে। কারণ এ সময় সবচেয়ে বেশি ফুল বিক্রি হয়।

বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ এ উৎসব আয়োজন করে আসছে। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বকুলতলায় হবে বসন্ত বন্দনা উৎসব।

এছাড়া উৎসব চলবে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক, ধানমণ্ডির রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চ ও উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের উন্মুক্ত মঞ্চে। সকাল সাড়ে ৯টায় বসন্ত শোভাযাত্রা বের করা হবে। শুধু ঢাকা নয় দেশজুড়েই ফাল্গুনী হাওয়া মাতাল করে যায় আপমর বাঙালিকে।

পাতার আড়ালে লুকনো কোকিলের কুহু ডাক ব্যাকুল করবে অনেক বিরহী অন্তর। কবি তাই বলেছেন, ‘সে কি আমায় নেবে চিনে/ এই নব ফাল্গুনের দিনে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আজ ঋতুরাজ বসন্ত

আপডেট সময় : ১১:৪১:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আজ পয়লা ফাল্গুন। শীতের রিক্ততা ভুলে প্রকৃতিতে বইছে ফাগুনী হাওয়া। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায়, ‘ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত’। ষড়ঋতুর পরিক্রমায় প্রকৃতিতে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। সেই ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন আজ। কোকিলের মধুর কুহু ডাক, রঙিন ফুলের আগুনে রূপ মনে দোলা দিয়ে যায়। গাছে গাছে ছড়িয়ে রয়েছে আমের মুকুল। অলৌকিক স্পর্শে জেগে উঠেছে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, নাগলিঙ্গমসহ কতশত ফুল।

মধুকর ব্যস্ত মধুপানে। সত্যি সত্যি বসন্ত ঋতুরাজ। এই দিনে অসংখ্য রমণী বাসন্তী রঙে নিজেদের রাঙিয়ে রাজপথ, পার্ক, বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরসহ দেশজুড়ে মুখর থাকবেন প্রিয় মানুষের সঙ্গে। কারও আজ হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা।

অমর একুশে গ্রন্থমেলায়ও এর দোলা লাগবে। আজ মেলায় থাকবে বাসন্তী রঙের উৎসব। তরুণীরা এ রংয়ের পোশাক আর গাঁদা ফুলে নিজেদের সাজিয়ে মেলায় আসবেন। তরুণরা পরবেন বাসন্তী রংয়ের পাঞ্জাবি-ফতুয়া। আর ফাগুনের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ আগামীকাল বৃহস্পতিবার মেলায় থাকবে ভালোবাসার পরশ। কারণ, দিনটি ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’, ভালোবাসার দিন। প্রেমিকযুগল হাতে হাত ধরে ঘোরাঘুরি করবেন। কেউবা যাবেন পার্কে, অনেকে আসবেন প্রিয় বইমেলায়। মনের মানুষটিকে লাল গোলাপের সঙ্গে উপহার দেবেন প্রিয় লেখকের বই। এদিন মেলা রাঙাবে লাল রংয়ে। দুদিনই মেলায় থাকবে উৎসবের আমেজ। স্বভাবতই ফাল্গুনী হাওয়া দোলা দিয়ে যাবে প্রকাশকদের মনেও।

তবে ফাগুন এলে চওড়া হাসি দেখা যায় ফুলচাষি ও বিক্রেতাদের মুখে। কারণ এ সময় সবচেয়ে বেশি ফুল বিক্রি হয়।

বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ এ উৎসব আয়োজন করে আসছে। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বকুলতলায় হবে বসন্ত বন্দনা উৎসব।

এছাড়া উৎসব চলবে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক, ধানমণ্ডির রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চ ও উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের উন্মুক্ত মঞ্চে। সকাল সাড়ে ৯টায় বসন্ত শোভাযাত্রা বের করা হবে। শুধু ঢাকা নয় দেশজুড়েই ফাল্গুনী হাওয়া মাতাল করে যায় আপমর বাঙালিকে।

পাতার আড়ালে লুকনো কোকিলের কুহু ডাক ব্যাকুল করবে অনেক বিরহী অন্তর। কবি তাই বলেছেন, ‘সে কি আমায় নেবে চিনে/ এই নব ফাল্গুনের দিনে