ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী দিনে বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য: মিনু

সোহরাব হোসেন সৌরভ, রাজশাহী //
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫ ১৯ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, রাসিকের সাবেক মেয়র ও এমপি জননেতা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি। আমরা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। অনেক রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছি। আগামী দিনে এই বাংলাদেশকে সুন্দর করে শহীদ জিয়ার মতো, বেগম খালেদা জিয়ার মতো একটি শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি আরো বলেন, সকল দলমতের চাওয়া মোতাবেক এই বছরের শেষের দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আপনাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিবে। গতকাল শুক্রবার রাজশাহী মহানগরীর ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি অন্তবর্তী সরকারের প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি আমাদের দেশ বরণ্য মানুষ। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। যখন আপনি নোবেল পুরস্কার নিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন, তখন এই ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা আপনাকে বাধা দিয়েছিল এবং আপনাকে অসম্মান করেছিল। কিন্ত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ভাই ও আমাকে এবং মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আপনার কাছে পাঠিয়েছিল দেশবাসীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। বেগম খালেদা জিয়া আপনাকে প্রথম সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে বরণ করেছেন। আপনাকে যখন নির্যাতন করা হচ্ছিল, তখন দেশনেত্রী প্রতিবাদ করেছিলেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। আমরা অনুরোধ কববো, আপনি কারো কথায় বিভ্রান্ত হয়েন না। দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিচালনা করতে গেলে একটি নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন। একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন আপনি গঠন করেছেন। সকল দলমতের চাওয়া মোতাবেক এই বছরের শেষের দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আপনাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিবে।
তিনি আরো বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুদ্ধ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীনাতা। পরে মনে হয়েছিল স্বাধীনতা অর্জন করলেও ধীরে ধীরে আমরা পরাধিনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। সেই অবস্থার হাত থেকে শহীদ জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমাদের প্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন।
দীর্ঘ ১৭ বছর দেশ যেন সেই ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মতোই পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ ছিল। জাতি দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট খুনি ও স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ হাসিনা, যার নাম সারা পৃথিবীতে কলঙ্কজনভাবে লেখা হচ্ছে সেই হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামে দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরবর্তীতে ছাত্রজনতার অভ্যুথানে হাসিনার হাত থেকে দেশ রক্ষা করতে গিয়ে ছাত্রজনতার আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে শহীদ হয়েছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে শহীদ আলী রায়হান এই এলাকায় (প্রোগামস্থলের কাছে) হাসিনার দুর্নীতিবাজ মাস্তানদের দ্বারা এই মাটিতেই শহীদ হয়েছে। আলি রায়হানসহ আন্দোলনে সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা অসুস্থ তাদের সুস্থতা কামনা করছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা শহীদ জিয়ার সৈনিক তারেক রহমানের নির্দেশ কেউ যদি কোনো অবস্থায়, ভূমি দখল, নির্যাতন ও চাঁদাবাজি বা কারো উপর অত্যাচার করে তাহলে আপনারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দিন। এ ধরণের মানুষের স্থান জাতীয়তাবাদী দলে কোনোদিনই ছিল না ভবিষ্যতেও থাকবেনা। সবশেষে স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে দলের জন্য ভালো কাজ করুন। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। সুন্দর আয়োজন করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
কমেলা হক ডিগ্রী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. একরামুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাসিকের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী মহানগর জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডক্টর ইঞ্জিনিয়ার আক্তার হোসেন, রাবি শাখা জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহা. এনামুল হক, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম রাবি শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলিম, রাবি শাখা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ফরিদুল ইসলাম। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, গৌতম মোহান চৌধুরী ও বরজাহান আলী। ইফতারের আগ মুহূর্তে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আগামী দিনে বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য: মিনু

আপডেট সময় : ১১:২৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, রাসিকের সাবেক মেয়র ও এমপি জননেতা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি। আমরা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। অনেক রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছি। আগামী দিনে এই বাংলাদেশকে সুন্দর করে শহীদ জিয়ার মতো, বেগম খালেদা জিয়ার মতো একটি শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি আরো বলেন, সকল দলমতের চাওয়া মোতাবেক এই বছরের শেষের দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আপনাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিবে। গতকাল শুক্রবার রাজশাহী মহানগরীর ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি অন্তবর্তী সরকারের প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি আমাদের দেশ বরণ্য মানুষ। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। যখন আপনি নোবেল পুরস্কার নিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন, তখন এই ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা আপনাকে বাধা দিয়েছিল এবং আপনাকে অসম্মান করেছিল। কিন্ত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ভাই ও আমাকে এবং মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আপনার কাছে পাঠিয়েছিল দেশবাসীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। বেগম খালেদা জিয়া আপনাকে প্রথম সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে বরণ করেছেন। আপনাকে যখন নির্যাতন করা হচ্ছিল, তখন দেশনেত্রী প্রতিবাদ করেছিলেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। আমরা অনুরোধ কববো, আপনি কারো কথায় বিভ্রান্ত হয়েন না। দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিচালনা করতে গেলে একটি নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন। একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন আপনি গঠন করেছেন। সকল দলমতের চাওয়া মোতাবেক এই বছরের শেষের দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আপনাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিবে।
তিনি আরো বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুদ্ধ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীনাতা। পরে মনে হয়েছিল স্বাধীনতা অর্জন করলেও ধীরে ধীরে আমরা পরাধিনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। সেই অবস্থার হাত থেকে শহীদ জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমাদের প্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন।
দীর্ঘ ১৭ বছর দেশ যেন সেই ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মতোই পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ ছিল। জাতি দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট খুনি ও স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ হাসিনা, যার নাম সারা পৃথিবীতে কলঙ্কজনভাবে লেখা হচ্ছে সেই হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামে দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরবর্তীতে ছাত্রজনতার অভ্যুথানে হাসিনার হাত থেকে দেশ রক্ষা করতে গিয়ে ছাত্রজনতার আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে শহীদ হয়েছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে শহীদ আলী রায়হান এই এলাকায় (প্রোগামস্থলের কাছে) হাসিনার দুর্নীতিবাজ মাস্তানদের দ্বারা এই মাটিতেই শহীদ হয়েছে। আলি রায়হানসহ আন্দোলনে সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা অসুস্থ তাদের সুস্থতা কামনা করছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা শহীদ জিয়ার সৈনিক তারেক রহমানের নির্দেশ কেউ যদি কোনো অবস্থায়, ভূমি দখল, নির্যাতন ও চাঁদাবাজি বা কারো উপর অত্যাচার করে তাহলে আপনারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দিন। এ ধরণের মানুষের স্থান জাতীয়তাবাদী দলে কোনোদিনই ছিল না ভবিষ্যতেও থাকবেনা। সবশেষে স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে দলের জন্য ভালো কাজ করুন। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। সুন্দর আয়োজন করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
কমেলা হক ডিগ্রী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. একরামুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাসিকের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী মহানগর জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডক্টর ইঞ্জিনিয়ার আক্তার হোসেন, রাবি শাখা জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহা. এনামুল হক, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম রাবি শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলিম, রাবি শাখা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ফরিদুল ইসলাম। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, গৌতম মোহান চৌধুরী ও বরজাহান আলী। ইফতারের আগ মুহূর্তে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।