ঢাকা ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আওয়ামী লীগ আমলে প্রতি বছর পাচার হয়েছে ১৫ বিলিয়ন ডলার’

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগ টানা প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে যে পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে তা হিসাব করলে গড়ে প্রতি বছর ১৫ বিলিয়ন ডলার হয় বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। যদিও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে কী পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে এর প্রকৃত হিসাব কোথাও নেই বলে মনে করেন তিনি।

শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ‘ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম’ ও ‘সম্ভাবনার বাংলাদেশ’ আয়োজিত একটি সেমিনারে তিনি এসব কথা জানান।

আওয়ামী লীগ আমলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ব্যবহার করে অর্থ পাচার হয়েছে অভিযোগ করে ড. ইফতেখার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ব্যাংক খাত থেকে যে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার হওয়ার কথা বলেছেন, বাস্তবে তার পরিমাণ আরও বেশি। তৎকালীন সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালীরা ব্যাংক খাত ও বাণিজ্যের আড়ালে বছরে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হলেও প্রক্রিয়াটি খুবই জটিল জানিয়ে তিনি বলেন, যে দেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে সেই দেশের সাথে আইনি চুক্তি ও সমঝোতার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজনৈতিক, আমলাতান্ত্রিক ও ব্যবসায়িক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে অর্থ পাচার ও দুর্নীতি বন্ধ হবে না বলে মনে করেন তিনি।

এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বানও জানান ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, অর্থ পাচার রোধে রাষ্ট্রকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সাথে বৈঠক করেছে সরকার। আগামী দুই বছরের মধ্যে যদি একটা পয়সাও ফেরত আসে তাহলে সেটাও বড় অর্জন হবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে ঋণ খেলাপির সংস্কৃতি যারা চালু করেছে, সেই প্রভাবশালীরাই পাঁচতারকা হোটেলে বসে ব্যাংকখাতের নীতি পলিসি তৈরি করতো। বাংলাদেশ ব্যাংক সেসব পলিসি শুধু ঘোষণা করত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

‘আওয়ামী লীগ আমলে প্রতি বছর পাচার হয়েছে ১৫ বিলিয়ন ডলার’

আপডেট সময় : ০৩:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগ টানা প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে যে পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে তা হিসাব করলে গড়ে প্রতি বছর ১৫ বিলিয়ন ডলার হয় বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। যদিও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে কী পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে এর প্রকৃত হিসাব কোথাও নেই বলে মনে করেন তিনি।

শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ‘ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম’ ও ‘সম্ভাবনার বাংলাদেশ’ আয়োজিত একটি সেমিনারে তিনি এসব কথা জানান।

আওয়ামী লীগ আমলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ব্যবহার করে অর্থ পাচার হয়েছে অভিযোগ করে ড. ইফতেখার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ব্যাংক খাত থেকে যে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার হওয়ার কথা বলেছেন, বাস্তবে তার পরিমাণ আরও বেশি। তৎকালীন সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালীরা ব্যাংক খাত ও বাণিজ্যের আড়ালে বছরে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হলেও প্রক্রিয়াটি খুবই জটিল জানিয়ে তিনি বলেন, যে দেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে সেই দেশের সাথে আইনি চুক্তি ও সমঝোতার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজনৈতিক, আমলাতান্ত্রিক ও ব্যবসায়িক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে অর্থ পাচার ও দুর্নীতি বন্ধ হবে না বলে মনে করেন তিনি।

এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বানও জানান ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, অর্থ পাচার রোধে রাষ্ট্রকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সাথে বৈঠক করেছে সরকার। আগামী দুই বছরের মধ্যে যদি একটা পয়সাও ফেরত আসে তাহলে সেটাও বড় অর্জন হবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে ঋণ খেলাপির সংস্কৃতি যারা চালু করেছে, সেই প্রভাবশালীরাই পাঁচতারকা হোটেলে বসে ব্যাংকখাতের নীতি পলিসি তৈরি করতো। বাংলাদেশ ব্যাংক সেসব পলিসি শুধু ঘোষণা করত।