অনলাইন-অফলাইনে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টায় আওয়ামী লীগ
- আপডেট সময় : ১০:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ ও তাদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। অনেকেই দেশ ছেড়ে গেছেন, আবার অনেকেই দেশেই আছেন। যদিও তারা প্রকাশ্যে আসছেন না, তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন অনেকেই। সাম্প্রতিক সময়ে এই সক্রিয়তা বেড়েছে, এবং নিজের অবস্থান জানাতে জটিকা মিছিলও করতে দেখা গেছে তাদের।
৫ আগস্ট জনরোষের মুখে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন, তার সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। বর্তমানে তারা ভারতে অবস্থান করছেন। এরপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নানা কৌশলে দেশ ছাড়তে থাকেন, তবে কিছু নেতাকর্মী পালাতে গিয়ে ধরা পড়েন।
আত্মগোপনে থাকা অনেক নেতাকর্মী হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দেশের বাইরে থেকেও কেন্দ্রীয় নেতাদের সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে। সরকার পতনের এক মাসের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের হদিস পাওয়া যায়নি, কিন্তু অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবৃতি পাঠাতে শুরু করেছেন সভাপতি প্যানেলের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম। সূত্রে জানা গেছে, তারা দুজনই ভারতে রয়েছেন।
গতকাল ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার পর এ দুই নেতার পক্ষ থেকে বিবৃতি এসেছে। আত্মগোপনে থাকা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনও একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ পালাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন, পরে জামিন পেয়ে ফেসবুকে সক্রিয় হয়েছেন। বুধবার রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ব্যানারে ১১ জনের একটি জটিকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সবাই মাস্ক পরিহিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দীও ফেসবুকে সক্রিয় রয়েছেন। অনেক সাবেক নেতাকে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দেখা গেছে।
সরকার পতনের আগেই নেপালে চলে যান সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শুভ্র মাহমুদ, এবং তিনি নেপাল থেকে নিজের সক্রিয়তা বজায় রাখছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, এবং ছাত্রলীগের নামে খোলা বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপেও নেতাকর্মীরা সক্রিয় রয়েছেন।
বর্তমানে পদধারী নেতাদের বেশিরভাগই পলাতক, তবে অনেক নেতাই প্রকাশ্যে আসছেন। ঢাকা মহানগর উত্তরের ১০০ নং ওয়ার্ডের দপ্তর সম্পাদক জসিম উদ্দিন এবং প্রচার সম্পাদক মোশাররফ হোসেন খান তাদের নিজ এলাকায় নিয়মিত ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যদিও তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর হামলা ও হত্যার মামলা রয়েছে।